খুলনা | শুক্রবার | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

খুলনা ওয়াসার এমডির যোগদানে ছাড়পত্র মেলেনি : নেপথ্যে পিডি নিয়োগের তোড়জোড়!

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:৫৫ এ.এম | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫


রহস্যজনক ভাবে খুলনা ওয়াসার পদায়নকৃত এমডি র যোগদানে ছাড়পত্র আটকে গেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে। গত ৯ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব আবুল হায়াত মোঃ রফিক রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামানকে খুলনা ওয়াসার এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) পদে পদায়ন করেন। গত ২ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) পর্যন্ত তিনি কর্মস্থলে যোগদান করতে পারেননি। তার যোগদান করার জন্য ছাড়পত্রটি আটকে আছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ওয়াসা সংক্রান্ত দপ্তরে। আর এই সুযোগে খুলনা ওয়াসার সেই বহুল আলোচিত নির্বাহী প্রকৌশলীকে ফেস-২ প্রকল্পের পিডি হিসেবে নিয়োগ দিতে একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিতব্য খুলনা ওয়াসার বোর্ড মিটিংয়ে এটি উত্থাপন হতে পারে বলে ওয়াসার একাধিক কর্মকর্তা জানান।
খুলনা ওয়াসার একাধিক কর্মকর্তা স্বীকার করেন বিগত দিনে খুলনা তথা দেশের আলোচিত শেখ বাড়ির টাকার মেশিন বলে খ্যাত নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল ইসলামও খুলনা ওয়াসার ফেস-২ পকল্পের পিডি হিসেবে নিয়োগ পেতে মরিয়া। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ চলমান থাকা সত্ত্বেও মনোনয়নের ক্ষেত্রে তার নাম ইতিপূর্বে প্রেরণ করা হয়। ২৫৯৮ কোটি টাকার ফেস-২ প্রকল্পের পিডি হতে পারলে খুলনা ওয়াসার আওয়ামী দোসরদের ষোলকলা পূর্ণ হবে। তবে এর পেছনে কাজ করছে তরুন এক বোর্ড মেম্বর, কতিপয় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আরও কিছু বোর্ড মেম্বর। বিশাল অঙ্কের বাণিজ্য হয়েছে বলে সূত্রটি জানায়।
সূত্রটি জানায় পিডি হতে ৪র্থ গ্রেডের নির্বাহী প্রকৌশলী হতে হবে। কিš  মোঃ রেজাউল করিম ৬ষ্ঠ গ্রেডের। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে বিগত দিনে ডিএমডি প্রকৌশলী মোঃ কামাল আহমেদ এসিআর দিয়ে গেলেও স¤প্রতি সেই এসিআরের ফাইল দপ্তর থেকে রহস্যজনকভাবে গায়েব হয়েছে বলে জানা গেছে। নতুন করে তার পক্ষে এসিআর নেওয়ার তোড়জোর চলছে। এসব বিষয় নিয়ে মন্ত্রণালয়ে দৌড়-ঝাঁপ করছেন আলোচিত তরুন বোর্ড সদস্য।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব ড. মোঃ মনিরুজ্জামানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুলনা ওয়াসার পদায়নকৃত এমডি র ফাইলটি কি অবস্থা তা এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না। তবে আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি। গ্রাহক সেবা থেকে প্রশাসনিক কাজে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এটি জরুরি সমাধান দরকার বলে তিনি মনে করেন।
অপর দিকে বৃহস্পতিবার খুলনা ওয়াসার বোর্ড মিটিং হচ্ছে এমনটি স্বীকার করে খুলনা ওয়াসার চেয়ারম্যান স্থানীয় সরকার বিভাগের (পরিকল্পনা) যুগ্ম-সচিব ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, নিয়োগ সংক্রান্তসহ সকল কাজ মন্ত্রণালয় থেকে হয়। এখানে চেয়ারম্যানের প্রশাসনিক কাজ খুবই কম। তাই পিডি নিয়োগ বা দায়িত্ব প্রদান সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।

্রিন্ট

আরও সংবদ