খুলনা | শনিবার | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের অবিলম্বে কাজে ফেরার নির্দেশ

খবর প্রতিবেদন |
০১:৫১ এ.এম | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫


মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতির আন্দোলন প্রত্যাহার করে অবিলম্বে কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মোহাম্মাদ মাহমুদুল হাসান কর্তৃক পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনার কথা জানানো হয়।
এতে বলে হয়, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলোতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা গত কয়েকদিন ধরে দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি আদায়ে কর্মবিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করায় জরুরি স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হচ্ছে এবং সেবাপ্রার্থী সাধারণ মানুষ অবর্ণনীয় কষ্ট ও দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় মানুষের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তিতে বিঘœ সৃষ্টি হওয়ায় সেবা গ্রহীতাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছে।
টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দাবির বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ নিম্নরূপ:
দীর্ঘদিনের পুরানো দশম গ্রেড দেওয়ার দাবির বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সব কর্মকান্ড ইতিবাচকভাবে সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহকে অবহিত করেছে। এই দাবি বাস্তবায়নে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মনোভাবও ইতিবাচক এবং তারা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যেহেতু এটি দীর্ঘদিনের সমস্যা, কাজেই তা সমাধানের জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় সময় দিতে হবে।
আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা সচিবদের সঙ্গে আলোচনায় এ বিষয়ের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন এবং আলোচনা ফলপ্রসূভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অথচ একটা ইতিবাচক সমাধানের পথে অগ্রসরমান বিষয়ে তারা পরে দাবি আদায়ের নামে রোগীদের জিম্মি করে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন, যা স্বাস্থ্যসেবার মতো মহান পেশায় নিয়োজিত সেবাপ্রদানকারীর কাছে কোনোভাবেই কাম্য নয়।
এমতাবস্থায় সরকারের সব পক্ষের ইতিবাচক মনোভাব, উদ্যোগ ও কর্মকান্ড চলমান অবস্থায় কর্মবিরতির নামে রোগীদের সেবাবঞ্চিত করার পথ পরিত্যাগ করে অবিলম্বে কাজে যোগদানের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিষ্টসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে। অন্যথায় এ ধরনের অত্যাবশ্যকীয় সেবা বন্ধের মতো জনস্বার্থবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ