খুলনা | সোমবার | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

সরবরাহ কমার অজুহাত

সাতক্ষীরায় দুইদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২৫ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা |
০১:১১ এ.এম | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫


সাতক্ষীরায় অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে বাজারে দেশি নতুন ও পুরাতন পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু করার পরও হঠাৎ করে দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন পুরাতন পেঁয়াজ প্রায় শেষের দিকে, এজন্য বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দুই প্রকার পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আগামী সপ্তাহ নাগাদ দাম স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানান ব্যবসায়িরা। 
রোববার সকালে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড়বাজারের পাইকারি পেঁয়াজের বাজার ঘুরে দেখা গেছে দেশি নতুন পেঁয়াজ ১০৫ টাকা ও পুরাতন পেঁয়াজ ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে নতুন ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা এবং পুরাতন পেঁয়াজ ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। মাত্র দুই দিন আগে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দেশি পেঁয়াজ নতুন ৮০ থেকে ৮৫ টাকা ও পুরাতন পেঁয়াজ ১০৫ থেকে ১০৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। 
খুচরা বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে সুলতানপুর বড়বাজারের পাইকারি বাজারে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। এরপরও আড়তে পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। শুক্রবার থেকে শনিবারের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে যায়। সাধারণ ক্রেতাদের আমরা কৈফিয়াত দিতে পারিনা। হঠাৎ করে দাম বাড়ার কথা শুনে অনেক ক্রেতা আমাদের সাথে মারমুখি আচরণ করেন। সবমিলিয়ে পেঁয়াজের বাজারে এখন অরাজকতা চলছে। দামের উপর কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। 
সুলতানপুর বাজারের আড়তদার মোল্যা ভান্ডারের প্রোঃ আব্দুল আজিজ বলেন, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল। শুক্রবার থেকে হঠাৎ করে সরবরাহ কমে গেছে। যে কারণে মালের ঘাটতি দেখা দেওয়ায় দামও বেড়েছে। এমনিতে পুরাতন পেঁয়াজের মজুদ কমে গেছে। কৃষকরা এখন নতুন পেঁয়াজ তোলা শুরু করেছেন। প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে বাজারে নতুন পেঁয়াজ উঠা শুরু করেছে। শুরুতেই ৮০-৮৫ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। কিন্তু পুরাতন পেঁয়াজ কমে যাওয়ায় চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় হঠাৎ করে নতুন পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। তবে ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে বাজারে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়বে বলে আশা করা যায়। সরবরাহ বাড়লে দামও কমে যাবে বলে জানান তিনি। 
আড়তদার বাসুদেব সাহা বলেন, মূলত শুক্রবার হঠাৎ করে স্থানীয় পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যায়। পাবনা, রাজবাড়ি ও ফরিদপুরসহ অন্য বেশ কয়েকটি জেলা থেকে আমাদের বাজারে পেঁয়াজ আসে। দুই দিনের ব্যবধানে সেখানে পাইকারি বাজারে দাম কেজিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। একারণে আমাদের এখানেও তার প্রভাব পড়েছে। ফলে পাইকারি ও খুচরা বাজারে মসলা জাতীয় এই পণ্যটির দাম বেড়েছে। নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ উঠতে শুরু করলেও চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমের কারণে দাম বাড়তি। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে এবং সরবরাহ বাড়লে আবার দাম কমে যাবে। 
সুলতানপুর বড় বাজারের মুদি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মুকুল বলেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে হঠাৎ করে সরবরাহ কমে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার সাথে ব্যবসায়ীদের কোন হাত নেই। বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে দামও কম থাকে।

্রিন্ট

আরও সংবদ