খুলনা | সোমবার | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

২০ দল নিয়ে নতুন রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩৪ পি.এম | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫


ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের জাতীয় পার্টি (জাপা) ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টি (জেপি) নেতৃত্বে ২০ দলের জোট জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) আত্মপ্রকাশ করেছে।

আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানের ইমানুয়েল পার্টি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে নতুন জোটের পরিচয় তুলে ধরা হয়।

জোটে অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য দলগুলো হলো- জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, জাতীয় ইসলামিক মহাজোট, জাতীয় সংস্কার জোট, বাংলাদেশ লেবারপার্টি, স্বাধীন পার্টি, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি, বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি, বাংলাদেশ সর্বজনীন দল, বাংলাদেশ জনকল্যাণ পার্টি, অ্যাপ্লায়েড ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং বাংলাদেশ জাতীয় লীগ।

লিখিত বক্তব্যে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রকৃত গণতান্ত্রিক রূপান্তর, বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থান আকাঙ্ক্ষার সমন্বয়ে আগামী দিনের রাষ্ট্র সংস্কার, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, মধ্যপন্থার উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বেগবান করা, ইসলামি মূল্যবোধ এবং সর্বধর্ম সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রবর্তন, ফ্যাসিবাদের চির অবসান এবং সুশাসন প্রত্যাশী জনগণের ম্রিয়মাণ কণ্ঠস্বরকে সোচ্চার করতে রাজনৈতিক জোট গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিনি বলেন, জোটভুক্ত দলগুলো নিজ নিজ আদর্শ ও স্বকীয়তা বজায় রেখে উপযুক্ত নীতিমালা এবং কয়েকটি দাবির ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন ও রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। এর নাম হবে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট।

লিখিত বক্তব্যে সাত দফা দাবি জানানো হয়—
১. ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় বৈষম্যহীন, নিরপেক্ষ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। অন্তর্বর্তী সরকারকে আগামী দুই মাসে নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারে পরিণত হতে হবে।

ক) সকল হয়রানিমূলক মামলা তুলে নিয়ে ভোটে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

খ) অন্তর্ভুক্তিমূলক ভোটের ব্যবস্থা জরুরি।

২. জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে।

৩. আইনের শাসন, সুস্থ, উদার গণতান্ত্রিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় জনগণের সম্মতিমূলক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করা জরুরি, যার লক্ষ্য একটি ভয়হীন, নিরাপদ ও কার্যকর রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে।

৪. অবনতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত ও দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ জরুরি। সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ-যে দলেরই হোক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

৫. নিত্যপণ্যের অসহনীয় মূল্যস্ফীতি রোধ করতে হবে।

৬. স্বনির্ভর অর্থনীতি, বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের ওপর জরুরি মনোযোগ দিতে হবে।

৭. দুর্নীতি মুক্ত, বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনটি দলের সমন্বয়ে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’ নামে নতুন আরও একটি রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ করে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এই জোটের নাম ঘোষণা করেন। দল তিনটি হলো এনসিপি, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে এবং দেশকে পুরোনো রাজনীতির পথে যেতে না দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে এই জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়।

্রিন্ট

আরও সংবদ