খুলনা | মঙ্গলবার | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

আবারও সংঘাতে জড়াল থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া, ৫ সেনা হতাহত

খবর প্রতিবেদন |
০৩:১৮ পি.এম | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫


দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ ফের রক্তক্ষয়ী সংঘাতে রূপ নিয়েছে। নতুন করে কম্বোডিয়ার বিতর্কিত সীমান্ত অঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) হামলা চালানোর তথ্য নিশ্চিত করেছে থাই সেনাবাহিনী।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, উভয় দেশই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে। থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, দেশের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ উবন রাতচাথানির অন্তত দুটি এলাকায় নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়, যেখানে থাই সেনারা কম্বোডিয়ার দিক থেকে গুলিবর্ষণের মুখে পড়ে। এতে একজন থাই সেনা নিহত এবং চার সেনা আহত হন।

থাই সেনাবাহিনী আরও জানায়, থাইল্যান্ড এখন একাধিক এলাকায় সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান ব্যবহার করে হামলা শুরু করেছে। অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে, কয়েক দিন ধরে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড চালানোর পর সোমবার ভোরে দুটি স্থানে তাদের বাহিনীর ওপর বিমান হামলা চালায় থাইল্যান্ড। তবে তারা দাবি করেছে, কম্বোডিয়ার সেনারা কোনো পাল্টা হামলা চালায়নি।

এর আগে চলতি বছরের জুলাই মাসে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে পাঁচ দিনের ভয়াবহ যুদ্ধে জড়ায় দেশ ‍দুটি। তখন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের উদ্যোগে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উমধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করে তারা। পরবর্তীতে অক্টোবর মাসে কুয়ালালামপুরে দুই দেশের মধ্যে একটি বর্ধিত শান্তিচুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়, যেখানে ট্রাম্প সশরীরে উপস্থিত ছিলেন।

জুলাই মাসের ওই সংঘাতে অন্তত ৪৮ জন নিহত হন এবং প্রায় ৩ লাখ মানুষ অস্থায়ীভাবে বাস্তুচ্যুত হয়। ওই সময় দুই দেশই একে অপরের ওপর রকেট ও ভারী কামানের গোলাবর্ষণ চালায়। তবে গত মাসে একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে থাইল্যান্ডের এক সেনা গুরুতরভাবে আহত হওয়ার পর, থাইল্যান্ড ঘোষণা দেয় যে তারা কম্বোডিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়ন স্থগিতের ঘোষণা দেয়।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ৮১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থলসীমান্তের বিভিন্ন অংশে এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিরোধ চলছে। এই সীমান্ত প্রথম মানচিত্রে চিহ্নিত করা হয় ১৯০৭ সালে, যখন ফ্রান্স কম্বোডিয়াকে উপনিবেশ হিসেবে শাসন করত।

দীর্ঘদিনের এই উত্তেজনা মাঝে মাঝেই সহিংসতায় রূপ নেয়। সর্বশেষ বড় সংঘর্ষ হয়েছিল ২০১১ সালে। ওই বছর টানা এক সপ্তাহ ধরে দুই দেশের মধ্যে আর্টিলারি গোলাবর্ষণ চলেছিল। যদিও উভয় দেশ বারবার কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছে, তবুও বিরোধ পুরোপুরি নিরসন হয়নি।

্রিন্ট

আরও সংবদ