খুলনা | বুধবার | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২৬ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

৭ চোরাকারবারীর বিরুদ্ধে মামলা

মোংলা বন্দরের বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে কয়লা পাচারকালে ট্রাক জব্দ, আটক ২

মোংলা প্রতিনিধি |
০১:৪৭ এ.এম | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫


মোংলায় বন্দরের বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে কয়লা ও সুন্দরবনের গোলপাতা গাছের চারা বোঝাই দুইটি ট্রাক জব্দ করেছে পুলিশ। রোববার রাতে মোংলা ফেরিঘাট পার হয়ে যাওয়ার সময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিক্তিতে পুলিশ ট্রাক দু’টি আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করা হলেও গোলপাতা গাছের চারা বোঝাই একটি ট্রাক ও সংশ্লিষ্ট ২ জনকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আর কয়লার সাথে জড়িত দুই পাচারকারীকে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৭ চোরাকারবারীকে আসামী করে মোংলা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। 
পুলিশ জানায় গোপানে গোয়েন্দা তথ্যের ভিক্তিতে জানতে পারে মোংলা পোর্ট পৌর শহরের ৫নং ওয়ার্ড সংলগ্ন মোংলা নদী পাড়াপারের ফেরিঘাট এলাকা দিয়ে দু’টি ট্রাকে অবৈধ পন্য রয়েছে এবং তা পাচার হয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এমন তথ্যের সূত্রধরে ওই এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় একটিতে খনিজ কয়লা বোঝাই ট্রাক যার নং-যশোর-ট-১১-২৬১৮ পরিবহনের জন্য অবস্থান করছে এবং অন্যটিতে সুন্দরবনের গোলপাতা গাছের চারা রয়েছে। পরে পুলিশ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ ওই এলাকায় পৌঁছালে চোরাকারবারী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া করে ৪ জনকে আটক করে, আর বাকিরা পালিয়ে যায়। তবে একটি ট্রাকে সুন্দরবনের গোলপাতা গাছের চারা বোঝাই ট্রাক ও আটক ২ জনকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে। বাকি আটক দুই কয়লা চোরাকারবারীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোংলা বন্দরের জাহাজ থেকে ৮ মেট্রিক টন ১০০ কেজি কয়লাসহ বন্দরের বিভিন্ন পণ্য চুরি ও পাচারের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে এবং তাদের সাথে জড়িত অন্যান্যদের নাম পরিচয় প্রকাশ করে বলে জানায় পুলিশ। 
এ ঘটনায় মোংলা থানার এসআই এস এম হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে আটক আসামি পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ডের সিগনাল টাওয়ার ভেড়িবাঁধ এলাকার মোঃ মিনারুল ইসলামের ছেলে মোঃ আমিনুল ইসলাম (৪৮), আউয়াল হাওলাদারের ছেলে মোঃ আলামিন হাওলাদার (৩৬), পলাতক আসামি-সিগনাল টাওয়ার (চরকানা) এলাকার মোঃ বাবলু ভূঁইয়া (৪৮), দ্বিগরাজের ট্রান্সপোর্ট এর মালিক রানা মাতুলার (৪৫), সেকেন্দার আলীর ছেলে মোঃ জাহিদ (৩৯) ও সুলতান হাওলাদারের ছেলে মোঃ জাকির হাওলাদার, (৩৮) কে আসামি করে মামলা দায়ের করে। 
মোংলা থানার ওসি তদন্ত মানিক চন্দ্র গাইন বলেন বেশ কিছু দিন যাবত মোংলা বন্দর ও সুন্দরবন থেকে বনের সম্পদ ও বন্দরের মালামাল পাচার হচ্ছে এমন গোপন খবর রয়েছে প্রশাসনের কাছে। পাচার বা চোরাকারবারীদের আটকের জন্য গোয়েন্দা নজরদারীও বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাই এ অভিযানের সফলতা কয়লা বোঝাই ট্রাক ও পাচারকারী আটক। এছাড়া মামলার বাহিরেও এর সাথে পাচার বা সহায়তার করার জন্য আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তারও তদন্ত চলছে। আর কয়লা পাচারের সাথে আটক দুই জনকে মামলা দায়ের শেষে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে, তাদেরও গ্রেফতার করে আইনের কাছে সোপর্দ করা হবে বলে জানায় পুলিশের এ কর্মকর্তা। 

্রিন্ট

আরও সংবদ