খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে কিছুই করার নেই : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

খবর প্রতিবেদন |
০৩:৪৪ পি.এম | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫


বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত ফেরত পাঠাতে রাজি না হলে কিছুই করার নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানেই থাকবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত একান্তই তার ওপর নির্ভর করছে এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রক্রিয়ায় তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা কি করতে পারি, বলুন? কি করণীয়? করণীয় তেমন কিছু আসলে নেই। ভারতকে রাজি হতে হবে অথবা চাইতে হবে তাকে ফেরত পাঠানোর।

তিনি আরও বলেন, রাজি না হলে আসলে কিছু করার নেই। আমরা রাজি করানোর চেষ্টা করে থাকতে পারি। আমরা রাজি করানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারব, এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিচার বহির্ভূত হত্যা বন্ধ করার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার শতভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

ভিসা-সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ফেক ডকুমেন্ট তৈরি বন্ধ না হলে বাংলাদেশের ভিসা-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান হবে না। শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রদানের বিষয় সেসব দেশের অধীনে; দেশে নতুন কোনো মিশন খোলা সময়সাপেক্ষ বিষয়। অনেকগুলো মিশন অনুমোদিত, কিন্তু আর্থিক কারণে তা হচ্ছে না।’

ডিজিএফআই বন্ধ করবে কি না সরকার, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ডিজিএফআইয়ের মতো প্রতিষ্ঠান সব দেশে আছে; এটা বন্ধ করা সহজ নয়। মানবাধিকার ইস্যুতে বিদেশি কোনো নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা নেই। র‍্যাব কয়েক মাসে যথেষ্ট উন্নতি করেছে এবং মানবাধিকার রক্ষায় সরকার শতভাগ চেষ্টা করছে।’

ভারতকে বাদ দিয়ে পাকিস্তান ও চীনকে নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন জোট গঠনের সম্ভাবনার প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কোনো একদিন এর অগ্রগতি ঘটতে পারে, তবে এখন এ বিষয়ে বেশি কিছু বলার অবস্থায় নেই।’

র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তোলার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, আর এটা প্রক্রিয়ার ব্যাপার, দেখা যাক আমরা কতটুকু করতে পারি। র‌্যাবের কাজে স্পষ্টত অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এটা অনেকে স্বীকার করেন। গত ১৫ বছরে র‌্যাব যা করেছে সে তুলনায়…কিছু অভিযোগ থাকতে পারে। কিন্তু অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এই সরকারের প্রচেষ্টার কোনো অভাব নেই। কারও যেন মানবাধিকার এভাবে লঙ্ঘিত না হয়, কেউ যেন গুম না হয়; কেউ যেন বিচারবর্হিূভূত হত্যার স্বীকার না হয়, এ ব্যাপারে আমাদের শতভাগ কমিটমেন্ট আছে।

৫ আগস্ট পরবর্তীতে বাংলাদেশের কোনো শাসকের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার সম্ভবনার প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, আসলে আমার তো মনে হয় না এ ধরনের কোনো সম্ভবনা আছে। কারণ, আমি দেখতে পাচ্ছি না এ রকম কোনো অভিযোগ আসছে।

বিগত সরকারের সময় থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশান এগ্রিমেন্ট (জিসোমিয়া) নিয়ে আলোচনা চলছে। চুক্তির অগ্রগতি নিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, এটা বরং আরেকটু অগ্রগতি হোক। এটা নিয়ে তো আলোচনা চলছে অনেক দিন ধরে।

্রিন্ট

আরও সংবদ