খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

গৃহকর্মী আয়েশা ও তার স্বামী গ্রেফতার

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেল মা-মেয়েকে হত্যার কারণ

খবর প্রতিবেদন |
০৫:০৮ পি.এম | ১০ ডিসেম্বর ২০২৫


রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে মা–মেয়েকে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশা (২০) ও তার স্বামী রাব্বি শিকদারকে গ্রেফতার করেছে মোহাম্মদপুর থানা–পুলিশ। গৃহকর্মীকে গ্রেফতারের পর হত্যাকাণ্ড ঘিরে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার চরকয়া গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চুরির ঘটনা নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে জানিয়েছে গৃহকর্মী আয়েশা।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে আয়েশাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, তাকে চুরির অপবাদ দেয়া হয়েছিল। সেই ক্ষোভে সে মা-মেয়েকে হত্যা করেছে।

পুলিশের সূত্র আরও জানায়, ঘটনার দিন বাসার মালামাল চুরি করে নেয়ার সময় লায়লা আফরোজের কাছে আয়েশা ধরা পড়ে। একপর্যায়ে লায়লা আফরোজ তাকে আটকে পুলিশে ফোন দিতে গেলে আয়েশা ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে তাকে হত্যা করে।

মায়ের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে মেয়ে নাফিজা বিনতে আজিজ দৌড়ে ড্রয়িংরুমে এসে মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। ওই সময় গৃহকর্মী তাকেও ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করে, এরপর স্কুলড্রেস পরে পালিয়ে যায়।

গ্রেফতারের সময় আয়েশার থেকে ৬ ভরি স্বর্ণ, একটি ল্যাপটপ, একটি মোবাইল ফোন ও হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এদিকে দুপুরে মোহাম্মদপুর জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘তথ্য প্রযু‌ক্তির সহায়তা ও গোপন সংবাদের ভি‌ত্তিতে গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তি‌নি নল‌ছি‌টি এলাকায় তার দাদা শ্বশুর বাড়িতে আত্ম‌গোপনে ছিলেন। গৃহকর্মী আয়েশাকে ঢাকায় আনা হচ্ছে।’

গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। সুরতহাল প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, লায়লা আফরোজের শরীরে প্রায় ৩০টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মেয়ে নাফিসার শরীরে ছিল ৪টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন।

্রিন্ট

আরও সংবদ