খুলনা | শুক্রবার | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

ঘর দিলেন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম

মাথা গোজার ঠাঁই পেলেন স্বামী-সন্তানহারা মোংলার অসহায় বৃদ্ধা আনজিরা বেগম

মোংলা প্রতিনিধি |
১২:৪৯ এ.এম | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫


খুপড়ি ঘরে বসবাসকারী অসহায় বৃদ্ধা আনজিরা বেগমের মাথা গোজার ঠাঁই করে দিলেন “স্যাভ দা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম। তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী স্মরণীয় করে রাখতেই এ সহায় সম্বলহীন নারীকে ঘরটি নির্মাণ করে দিয়েছেন তিনি। জীবন সংসারে কেউ না থাকায় নতুন ঘর পেয়ে মহাখুশী মোংলা উপজেলার সোনাইলতলা গ্রামে স্বামী ও সন্তানহারা বৃদ্ধা আনজিরা বেগম। অসহায় এ নারীকে সাথে নিয়েই ফিতা কেটে এ নতুন ঘরের উদ্বোধন করলেন শেখ ফরিদুল ইসলাম। 
স্থানীয়রা জানায় একমাত্র মেয়েকে নিয়ে দীর্ঘদিন চট্টগ্রামে বসবাস করতো শাহাদৎ ও আনজিরা বেগম দম্পতি। দুরারোগ্য ব্যাধিতে মারা যায় ১৩ বছর বয়সী মেয়ে। একমাত্র সন্তান হারিয়ে দুশ্চিন্তায় ভেঙ্গে পড়েন বাবা-মা। পরে চলে আসেন মোংলার সোনাইলতলা গ্রামে। স্বামী দিনমজুর আর আনজিরা বেগম অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে চলতো সংসার। ১০ বছর আগে হঠাৎ মারা যান স্বামী শাহাদৎ, স্ব^ামী সন্তান হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন আনজিরা। ঘর সংসার আর থাকার জায়গা না থাকায় ভোটারও হতে পারেনি সে। কেউ না থাকলেও সোনাইলতলা এলাকার মানুষদের আপন করে নিয়েছে সে। অসহায় দেখে স্থানীয় ইব্রাহিম সরদার তার নিজ জমিতে থাকার জায়গা করে দেন। দীর্ঘদিন ধরে অন্যের জায়গার উপর পলিথিনের ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করে আসছিলেন স্বামী ও সন্তানহীনা আনজিরা বেগম। লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলামের নজরে আসা মাত্রই বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তার জন্য এ নতুন ঘরটি নির্মাণ করে দেন এবং আনজিরা বেগমকে সাথে নিয়ে ফিতা কেটে ঘরটি উদ্বোধন করেন তিনি। নতুন ঘর উপহার পেয়ে মহাখুশী অসহায় বৃদ্ধা আনজিরা বেগম (৬৫)। তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী স্মরণীয় করে রাখতেই এ সহায় সম্বলহীন নারীকে ঘরটি উপহার দেয়া হয়েছে। 
আনজিরা বেগম বলেন, আমি এই এলাকার লোক না, চিটাগংয়ে বসবাস করতাম। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে মোংলায় চলে আসি, স্বামী ছিল আমার একমাত্র ভরসা, সেও চলে গেছে আমাকে ফেলে। আমি এখন একা, পরের ঘরে ঝিয়ের কাজ করে জীবন চলে। আমার কোন জায়গা জমি না থাকায় এক ভাই আমাকে থাকার জন্য জায়গা করে দিয়েছে। সেখানেই পলিথিন দিয়ে বসবাস করে আসছিলাম। বৃষ্টি হলেই পানি পড়তো, ঘরে এক কোনে বসে থাকতাম। কি করবো একটি ছেলে থাকলে এ শেষ বয়সে হয়তো কষ্ট করা লাগতো না। মেয়েটিও মরে গেলো, স্বামীও চলে গেলো পরপারে। যতদিন বেঁচে থাকি এখন এই এলাকার মানুষই আমার সব। শেখ ফরিদুল ইসলামের কাছ থেকে নতুন ঘর পেয়েছি, এখন আর কষ্ট নেই। খাবার আল্লাহই জোগাড় করে দিবে বলে বুকে কষ্ট নিয়ে জানালেন বৃদ্ধা আনজিরা বেগম। 
এলাকাবাসী জানান শেষ ফরিদুল ইসলাম শুধু আনজিরা বেগমের নয়, গত ১৭টি বছর মোংলা-রামপালের মানুষের বিপদের বন্ধু হয়ে রয়েছেন সকলের হৃদয়ে। অসংখ্য মানুষের সহায়তা এগিয়ে আসেন তিনি। আমরা তাকে মোংলা-রামপালের সংসদ সদস্য হিসেবে পেতে চাই। তা হলেই আমাদের অবহেলিত এ অঞ্চল উন্নয়ন হবে বলে আমরা বিশ^াস করি। 
স্যাভ দা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম জানান গরিব, অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমুল মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোই তো মানুষের কাজ, বিত্তবান এ সকল অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোই হবে মহাৎ কাজ। তাই বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এবং তার জন্মবাষিকী স্মরণীয় করে রাখতে অসহায় মানুষের মাথা গোজার ঠাঁই করে দেয়া হয়েছে।  
এর আগে বাগেরহাটের রামপালের ভাগা এলাকার অসহায় ভিক্ষুক বাকপ্রতিবন্ধী দীপালি রানী শীলসহ তারেক রহমানের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি নতুন ঘর উপহার দিয়েছেন লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম।

 

্রিন্ট

আরও সংবদ