খুলনা | শনিবার | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

কঠোর ইসি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরাতে হবে প্রচার সামগ্রী

আচরণবিধি কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে আজ মাঠে নামছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা

খবর প্রতিবেদন |
০১:২৬ এ.এম | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫


ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের আচরণবিধি কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকে ভোটগ্রহণের দু’দিন পর পর্যন্ত প্রতিটি উপজেলা ও থানায় ন্যূনতম দুইজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। বৃহস্পতিবার ইসির উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা পাঠানো হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে।
এতে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পরদিন হতে ভোটগ্রহণের দুই দিন পর পর্যন্ত সময়ের জন্য মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনার্থে প্রতি উপজেলা/থানায় অন্যূন ০২ (দুই) জন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশে ৪৯৫টি উপজেলা রয়েছে।
আজ থেকে ভোটের দু’দিন পর পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ‘মোবাইল কোর্ট আইনের’ অধীনে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের প্রচার সামগ্রী অপসারণের নির্দেশনা ইতোমধ্যেই দেওয়া হয়েছে।
আচরণবিধি লঙ্ঘনে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড ও দেড় লাখ টাকার জরিমানার বিধান রয়েছে; দলের ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে বিধি লঙ্ঘনে তদন্ত করে সর্বোচ্চ প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে ইসির।
এর আগে ১০ ডিসেম্বর ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তফশিল ঘোষণার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ওই নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী ও নির্বাচনী ক্যাম্প থাকলে তা সংশ্লিষ্ট সম্ভাব্য প্রার্থী/ব্যক্তিদের তফশিল ঘোষণার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজ খরচে/দায়িত্বে অপসারণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন।ইসি জানায়, নির্ধারিত সময়ে উপযুক্ত প্রচারণা সামগ্রীসমূহ অপসারণ সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আদিষ্ট হয়ে অনুরোধ করা হলো।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ