খুলনা | শুক্রবার | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর

খবর প্রতিবেদন |
১০:০৫ পি.এম | ১২ ডিসেম্বর ২০২৫


অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর পর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামী ২৫ ডিসেম্বর তিনি লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন।

শুক্রবার রাত পৌনে ১০টায় বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

পোস্টে বলা হয়েছে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান ঢাকার মাটিতে এসে পৌঁছাবেন। আমার তার আগমনকে শুধু স্বাগতম জানাচ্ছি না, একই সঙ্গে আনন্দের সঙ্গে দেশবাসীর কাছে এ সুখবরটি জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি— দেশে গণতন্ত্রের পথে যেসব বাধা সৃষ্টি হয়েছে, তারেক রহমানের দেশে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে তা দূর হয়ে যাবে।

২০০৭ সালের জানুয়ারিতে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গ্রেফতার হয়ে ১৮ মাস কারাগারে থাকার পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পান তারেক রহমান। গ্রেফতারের পর তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করা হয় বিএনপির তরফ থেকে। পরবর্তী সময়ে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকা ছাড়েন তারেক রহমান। দীর্ঘ সময় চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।

পরবর্তী সময়ে বিএনপির তরফে জানানো হয়, ২০১২ সালে তারেক রহমান ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। এক বছরের মধ্যেই তা গৃহীত হয়।

আওয়ামী লীগ আমলে একাধিক ‘মিথ্যা মামলা’র কারণে তিনি দেশে আসতে পারেননি-এমনটা বারবার বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ‘সহসাই দেশে ফিরবেন’ এমনটা বলা হলেও প্রায় দেড় বছরেও ফেরেননি তিনি।

সম্প্রতি তারেক রহমানের মা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকায় তার দেশে ফেরার বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। এক পর্যায়ে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তার দেশে ফেরার বিষয়টি শুধুই নিজ ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে না। এর সঙ্গে আরও বিষয় জড়িয়ে আছে। এটা নিয়ে অনেকের মনে সন্দেহ দেখা দেয়, তারেক রহমান অদৃশ্য কোনো বাধায় দেশে ফিরছেন না। তুমুল আলোচনার মধ্যেই এবার সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করে জানানো হলো বিএনপির কান্ডারির দেশে ফেরার তারিখ। 

্রিন্ট

আরও সংবদ