যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল বাজারের বাহাদুরপুর মোড়ে নবনির্মিত লাইট পোস্টে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত মোটরসাইকেল আরোহী কিশোর ইমন হোসেনের (১৭) মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার ধানমন্ডি আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আমরাতো আল্লাহর এবং আল্লাহর কাছেই ফিরে যাবো)। ইমন বেনাপোল পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আকরাম হোসেনের ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে ইমন সবার চেয়ে ছোট।
বন্ধু হৃদয় মোল্লা জানান গত মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ইমন বেনাপোল বাজার থেকে এক বন্ধুর সাথে মোটরসাইকেল নিয়ে বাহাদুরপুর যাচ্ছিল। বাহাদুরপুর মোড়ে পৌঁছালে বেনাপোল-যশোর মহাসড়কের ওপর নবনির্মিত লাইট পোস্টের খাম্বায় তার মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে সে রাস্তায় ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নাভারণ শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে¬ক্সে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত যশোর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মাথার পেছনে শিরায় রক্ত জমাট বাধার কারণে দু’দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে বৃহস্পতিবার সে মারা যায়। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঢাকা থেকে মরদেহ আসার পর শুক্রবার বিকেলে নিজ গ্রাম বেনাপোলে গণকবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন বেনাপোল পৌরসভার সদ্য বিদায়ী প্রশাসক ও শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডাঃ কাজী নাজিব হাসান মাত্রাতিরিক্ত উৎসাহী হয়ে অত্যন্ত সরু ও ব্যস্ততম বাহাদুরপুর পঞ্চমুখী মোড়ে বিশাল আকৃতির ঝিকঝাক লাইট পোস্ট ও গোলচত্বর নির্মাণ করেন, যা রাস্তার প্রায় অর্ধেক জায়গা দখল করে। এতে ওই স্থানে নিয়মিত যানজট ও দুর্ঘটনা বাড়ছে। 
তারা আরও অভিযোগ করেন পৌরবাসীর প্রয়োজনীয় টেকসই উন্নয়ন না করে তিনি ব্যস্ততম বাসস্ট্যান্ড এলাকা, ‘আই লাভ বেনাপোল’ লাইটবোর্ড, পৌর গেটের আদলে ডেমি গেটসহ বিভিন্ন জায়গায় অপ্রয়োজনীয় কাঠামো নির্মাণ করে সড়ক সংকুচিত করেছেন, যার ফলে ছোট-বড় দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটছে।