খুলনা | শনিবার | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

ইসির নানা শর্তাবলি

একজন ব্যক্তি ৩টির বেশি সংসদীয় এলাকায় প্রার্থী হতে পারবে না

খবর প্রতিবেদন |
০১:০৫ এ.এম | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫


দরজায় কড়া নাড়ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থিতা সীমাবদ্ধতা ও যোগ্যতা নিয়ে একটি পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরিপত্রে বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি তিনটির বেশি সংসদীয় এলাকায় প্রার্থী হতে পারবে না। যদি কোন ব্যক্তি তিনটির বেশি আসনে মনোনয়নপত্র কেনেন তবে সবগুলো বাতিল হবে। পাশাপাশি সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হতে হলে মেয়র-চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য লাভজনক পদ ছাড়তে হবে।
শুক্রবার ইসি সচিবালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ১৩ক অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি একই সময়ে তিনটির বেশি নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থী হলে, তার সবগুলো মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।’
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। প্রজাতন্ত্র বা সরকার নিয়ন্ত্রিত কোনো প্রতিষ্ঠানে সার্বক্ষণিক পদে থাকলে, তা ‘লাভজনক পদ’ হিসেবে গণ্য হবে এবং এ ধরনের ব্যক্তিরা নির্বাচন করতে অযোগ্য হবেন।
পরিপত্রে জানানো হয়, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান; সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার মেয়র; বিভিন্ন সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত বা সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত দপ্তর/প্রতিষ্ঠান/কর্পোরেশন/কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল ব্যক্তি এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গকে প্রার্থী হতে হলে নিয়ম অনুযায়ী পদত্যাগ করতে হবে।
একাধিক আসনে প্রার্থিতা : গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ১৩ (ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে কোনো ব্যক্তি একই সময়ে তিনটির অধিক নির্বাচনি এলাকায় প্রার্থী হতে পারবেন না। যদি কোনো ব্যক্তি একই সময়ে তিনটির অধিক নির্বাচনি এলাকায় প্রার্থী হন তা হলে সব নির্বাচনী এলাকার জন্য তার সব মনোনয়নপত্র বাতিল হবে।
নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খোলা : প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কেও পরিপত্রে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’ এর ৪৪খ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক নির্বাচনী এজেন্টকে (বা এজেন্ট না থাকলে প্রার্থীকে নিজে) তফসিলি ব্যাংকে একটি পৃথক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। ব্যক্তিগত ব্যয় ব্যতীত নির্বাচন সংক্রান্ত সব ব্যয় এই এ্যাকাউন্ট থেকেই পরিশোধ করতে হবে।
নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০২৫ অনুযায়ী মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ফরম-২০ এ নির্বাচনী ব্যয়ের সম্ভাব্য উৎসের বিবরণী এবং ফরম-২১ এ প্রার্থীর সম্পদ, দায়-দেনা ও বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের বিবরণী দাখিল করাও বাধ্যতামূলক।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ