খুলনা | রবিবার | ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন

সাতক্ষীরার সাবেক পিপি লতিফ ও ছেলে রাসেলকে হত্যা মামলায় কারাগারে প্রেরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা |
০১:৫১ এ.এম | ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫


খুলনার বয়রা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে আটক সাতক্ষীরা জজ আদালতের সাবেক পিপি, আওয়ামী লীগ নেতা এড. আব্দুল লতিফ ও তার ছেলে রাসেলকে সদর থানায় দায়ের করা পৃথক দু’টি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার সকাল ১০টার দিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা ওই মামলার এজাহার নামীয় আসামী। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছেন মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক নিশাত ও উপ-পরিদর্শক আল আমিন। 
সাতক্ষীরা সদর থানার উপ-পরিদর্শক আল আমিন জানান, তার তদন্তাধীন সদর থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামী ছিলেন সাবেক পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। 
একই ভাবে উপ-পরিদর্শক নিশাত জানান, তিনি তদন্ত করছেন এমন একটি হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি ছিলেন পিপি এড. আব্দুল লতিফের ছেলে মোঃ রাসেল। তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। 
প্রসঙ্গত, বিগত ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাতক্ষীরা জজ আদালতের সাবেক পিপি, আওয়ামী লীগ নেতা এড. আব্দুল লতিফ সপরিবারে পালিয়ে খুলনায় চলে যান। তিনি খুলনার বয়রা এলাকায় মৎস্য ভবনের পাশের গুলিতে জনৈক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদের বাড়ির তিন তলার একটি ফ্লাটে ভাড়া থাকতেন। এ সময় আব্দুল লতিফ হত্যা ও নাশকতাসহ ৮টি মামলার ও তার ছেলে রাসেল হত্যাসহ তিনটি মামলার আসামি হন। 
সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুর এলাকার ৫তলা বাড়ি ফ্লাট আকারে উকিল কমিশন করে বিক্রিকালে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর ) বেলা ১০টার দিকে খুলনার বয়রা এরাকার ওই বাসা থেকে সাতক্ষীরা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ  তাদেরকে আটক করে।
এড. আব্দুল লতিফ (৫৮) সাতক্ষীরা সদরের কামারবায়সা গ্রামের মৃত মনসুর সরদারের ছেলে। তার ছেলে মোঃ রাসেল (৩৫)। বিগত ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে তারা সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুরের বাড়িতেই বাসবাস করতেন। 
স্থানীয় একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, দুর্নীতির দায়ে বিডিআর থেকে চাকুরিচ্যুত হয়ে আইন পেশায় যোগ দেন আব্দুল লতিফ। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তৎকালীন সাংসদ মোস্তাক আহম্মদ রবির মাধ্যমে তিনি সাতক্ষীরা জজ আদালতের পিপি নিয়োগপ্রাপ্ত  হন। এ সময় আদালত পাড়া থেকে বহু টাকা উপার্জন করেন আব্দুল লতিফ। এর আগে তিনি সীমান্ত পথে ভারতীয় গরু চোরচালানের সাথে জড়িয়ে পড়েন। সে সময় সীমান্তের গরুর খাটাল পরিচালনা করার সুযোগে তিনি বহু টাকার মালিক বনে যান। এ সময় এলাকার লোক তাকে খাটাল লফিত হিসাবে ডাকতো। পরে শহরের রসুলপুর এলাকায় তৈরি করেন ৫ তলা বিশিষ্ট মনোরম অট্টালিকা। সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম বিয়টি নিশ্চিত করেছেন।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ