খুলনা | মঙ্গলবার | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১ পৌষ ১৪৩২

নগর ও জেলা বিএনপি’র যৌথ আলোচনা সভায় এড. মনা

দেশীয় দোসরদের পরিকল্পনায় বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে পাক হানাদারা

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০২:২১ এ.এম | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫


খুলনা মহানগর বিএনপি’র সভাপতি এডভোকেট শফিকুল আলম মনা বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বেদনাবিধুর ও কলঙ্কিত দিন। বিজয়ের ঠিক দ্বারপ্রান্তে এসে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসর রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামস বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানÑবুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। এর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল সদ্য স্বাধীন হতে যাওয়া বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করা। 
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় মহানগর ও জেলা বিএনপি’র যৌথ উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়ায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 
এড. মনা বলেন, বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের মাত্র দুই দিন পর, ১৬ ডিসেম্বর, জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় এবং বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। কিন্তু বিজয়ের সেই আনন্দের মুহূর্ত জাতি পূর্ণভাবে উপভোগ করতে পারেনি, কারণ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের রক্তে তখনও দেশের মাটি ভেজা ছিল।
তিনি আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন এ দেশের বিবেক। তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন, স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সে কারণেই হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যা করে। এই হত্যাকান্ড আজও জাতির হৃদয়ে গভীর ক্ষত হয়ে আছে। 
চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে মনা বলেন, ফ্যাসিবাদের পতনের পর যদি আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারি, স্বাধীন বিচার বিভাগ নিশ্চিত করতে পারি এবং বহু পথ ও মতের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারিÑতবেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। অন্যথায় তাদের আত্মত্যাগ শুধু স্মৃতির পাতায় সীমাবদ্ধ থাকবে।
সংক্ষিপ্ত আলোচনায় ও অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির আহŸায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, সৈয়দা নার্গিস আলী, বেগম রেহানা ঈসা, বদরুল আনাম খান, মাসুদ পারভেজ বাবু, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, আবু সাঈদ শেখ, মোঃ মুজিবর রহমান, আখতারুজ্জামান তালুকদার সজীব, মোঃ শফিকুল ইসলাম শফি, মুন্তাসির আল মামুন, ইস্তিয়াক আহম্মেদ ইস্তি, কে এম এ জলিল, মাওলানা ফারুক হুসাইন, জাকির ইকবাল বাপ্পি, নাসির উদ্দিন, শেখ মনিরুজ্জামান মনির, গাজী আফসার উদ্দীন, মোঃ আমিন আহমেদ, জামাল তালুকদার, ইসতিয়াক উদ্দিন লাভলু, মনিরুজ্জামান মনি, ইয়াজুল ইসলাম অ্যাপোলো, নুরুল হুদা পলাশ, খান রাকিবুল ইসলাম, খান সাইফুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, সৈয়দ ইমরানসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয় । এতে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মোঃ আবু নাঈম কাজী। 
খুলনায় বিএনপি’র শ্রদ্ধা: দিবসটির প্রথম প্রহরে খুলনার গল্লামারী শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মহানগর ও জেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

্রিন্ট

আরও সংবদ