খুলনা | মঙ্গলবার | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২ পৌষ ১৪৩২

আনিস আলমগীর পাঁচ দিনের রিমান্ডে

খবর প্রতিবেদন |
০৬:৩৮ পি.এম | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫


উত্তরা পশ্চিম থানার সন্ত্রাস বিরোধ আইনের মামলায় জেষ্ঠ সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

তদন্ত কর্মকর্তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।

প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই শামীম হোসেন রিমান্ডের তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার ইন্সপেক্টর মুনিরুজ্জামান তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিলেন।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ২৮ মিনিটের তাকে আদালতের হাজতখানা থেকে এজলাসে তোলা হয়। তোলার সময় আনিসের হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট ও বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরানো হয়। এরপর ৫টা ৩২ মিনিটে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। কাঠগড়ায় হাজিরের পর তার পক্ষের আইনজীবীরা তাকে ঘিরে ধরেন। কয়েকজনের সঙ্গেও কথা বলেন আনিস আলমগীর, এরপর অঝোরে কাঁদতে থাকেন। বারবার হাত দিয়ে চোখের পানি মোছেন তিনি।

এর আগে সন্ধ্যা ৫টা ৮ মিনিটের দিকে সাদা মাইক্রো গাড়িতে করে ডিবি অফিস থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাকে হাজতখানায় রাখা হয়।

গতকাল ১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডির ২ নম্বরের একটি জিম থেকে বের হওয়ার পর তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেন। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবির কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পাশাপাশি গত রাতে অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চার জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলাটি দায়ের করেন জুলাই রেভ্যুলেশনারি এলায়েন্সের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, মারিয়া কিসপট্টা (ফ্যাশন মডেল) ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজের (উপস্থাপক)।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে ঘাপটি মেরে দেশে অবস্থান করে দেশকে অস্থিতিশীল ও অবকাঠামোকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্র করে আসছে। আসামিরা ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন টেলিভিশনের টকশোতে বসে নিষিদ্ধ সংগঠনকে ফিরিয়ে আনার গুজব (প্রপাগান্ডা) চালিয়ে আসছে। এর মাধ্যমে তারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পাঁয়তারা করছে। এসব বিভিন্ন পোস্টের ফলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা অনুপ্রাণিত হয়ে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও অবকাঠামোকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ