খুলনা | মঙ্গলবার | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২ পৌষ ১৪৩২

পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন, আজ জানা যাবে রিপোর্ট

সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ওসমান হাদি

খবর প্রতিবেদন |
১১:১৫ পি.এম | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫


সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কয়েকটি পরীক্ষার রিপোর্ট জানা যাবে। হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর চিকিৎসকরা হাদির পরিবারকে তার চিকিৎসার রোডম্যাপ জানাবেন।
এর আগে সোমবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের সেলেতার এয়ারপোর্টে অবতরণ করে হাদিকে বহন করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। সেখান থেকে তাকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। আগে থেকেই সবকিছু ব্যবস্থা করা হয়েছিল। হাসপাতালে পৌঁছেই হাদিকে ভর্তির পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
এরআগে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটের দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে এয়ার এ্যাম্বুল্যান্সটি। হাদির চিকিৎসার দেখভাল করতে সঙ্গে গিয়েছেন বড় দুই ভাই ওমর ফারুক ও আবু বকর সিদ্দিক।
এর আগে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে হাদিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
শরিফ ওসমান হাদি ছিলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র। তিনি ঢাকার ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি নিয়মিত গণসংযোগ চালাচ্ছিলেন।
গত শুক্রবার বেলা ২টা ২৪ মিনিটে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। পেছন থেকে অনুসরণ করে আসা একটি মোটরসাইকেল থেকে এক ব্যক্তি ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা সংকটাপন্ন। সোমবার দুপুরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছে।
হাদিকে গুলি করার পর থেকে হামলাকারীদের শনাক্তে পল্টন থানার পাশাপাশি র‌্যাব, ডিবিসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট তদন্ত করছে ও অভিযান চালাচ্ছে। 
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হামলাকারীর মধ্যে একজন সন্দেহভাজন ‘ফয়সাল করিম’ স¤প্রতি নির্বাচনী প্রচারে হাদির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পুলিশের পক্ষ থেকেও তাকে প্রধান সন্দেহভাজন ধরে নাগরিকদের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে। ফয়সাল করিম নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ