খুলনা | বুধবার | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৩ পৌষ ১৪৩২

বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলবের কারণ জানাল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

খবর প্রতিবেদন |
০৬:০১ পি.এম | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫


বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করেছে ভারত। এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশে কিছু উগ্রবাদী গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ড নিয়ে তাদের বিশেষ উদ্বেগ রয়েছে। এসব গোষ্ঠী ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় মিশনকে ঘিরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি তৈরি করার পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে—এ বিষয়টি হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

বৃধবার বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে উগ্রবাদী মহল যে ‘ভুল বয়ান’ বা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ছড়ানোর চেষ্টা করছে, ভারত তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে। তবে দুর্ভাগ্যজ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো এসব ঘটনার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত সম্পন্ন করেনি এবং ভারতের সঙ্গে কোনো অর্থবহ প্রমাণও ভাগাভাগি করেনি।’

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, ‘বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ— যার ভিত্তি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ। পরবর্তীতে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগিতা ও জনগণ-থেকে-জনগণের যোগাযোগের মাধ্যমে এ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। ভারত বাংলাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে এবং বরাবরই একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মুক্ত, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে আসছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ভারত প্রত্যাশা করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী দেশটিতে অবস্থিত সব বিদেশি মিশন ও পোস্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’

ধারণা করা হচ্ছে, সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা ও ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের অন্যতম মুখ হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যকে ঘিরেই এই তলব।

ভারতকে সতর্ক করে হাসনাত বলেছিলেন, বাংলাদেশ প্রয়োজনে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ভারতবিরোধী শক্তিকে আশ্রয় দিতে পারে এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করার পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে। 
এর মধ্যে চলতি সপ্তাহের শুরুতে বিক্ষোভ চলাকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর ঘটনাও দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০২৬ সালের শুরুতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ধরনের উত্তেজনাপূর্ণ বক্তব্য ও ঘটনা দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে।

্রিন্ট

আরও সংবদ