খুলনা | বৃহস্পতিবার | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৩ পৌষ ১৪৩২

মতবিনিময়ের জন্য সাংবাদিকদের দাওয়াত দিয়েও থানায় এলেন না কালীগঞ্জের নয়া ওসি

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি |
১২:২৫ এ.এম | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫


ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানায় সদ্য যোগদানকৃত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জেল­াল হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আমন্ত্রণপত্র পাঠান। ওসির আমন্ত্রণের প্রতি সম্মান জানিয়ে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাংবাদিকরা থানাতে উপস্থিত হন। কিন্তু ওই সময়ে ওসি জেল­াল হোসেন বা কোন অফিসার থানাতে ছিল না। এ সময় তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ওসি জানান, তিনি জরুরি কাজে বাইরে রয়েছেন এবং থানায় ফিরতে আনুমানিক ৩০ মিনিট সময় লাগবে। 
উলে­খ্য প্রেসক্লাবের প্রায়  ৪০ জন সাংবাদিক থানাতে উপস্থিত হলেও অপেক্ষাকালীন সময়ে থানার কোনো কর্মকর্তা সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্যতা বা খোঁজখবর নেননি। যা উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। সাংবাদিকগন এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমকাল প্রতিনিধি জামির হোসেন, ডেইলি স্টারের আজিবর রহমান, প্রতিদিনের বাংলাদেশ ও সময়ের খবর পত্রিকার হাবিব ওসমান, যুগান্তর ও দীপ্ত টিভির শাহরিয়ার আলম সোহাগ, কালবেলা পত্রিকার ওসমান গনি জুয়েল, নাগরিক টেলিভিশনের মিশন আলী, জিটিভির অলিয়ার রহমান, দৈনিক সংবাদের সাবজাল হোসেন, উচ্চকণ্ঠ নিউজের  সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম রবি, ইনকিলাব ও বাংলাদেশ বেতারের আহসান কবির, ইত্তেফাক ও  বৈশাখী টেলিভিশনের রফিকুল ইসলাম মন্টু, আজকাল পত্রিকার আরিফ মোল­া, গ্রিন টিভির আশিকুর, নয়া দিগন্তের রুহুল আমিন সৌরভ, রহমান, আমাদের সময়ের ফিরোজ আহমেদ,  একুশের সংবাদ ও গণতদন্ত পত্রিকার মাসুদ রানা, দিগন্ত বাণীর আব্বাস উদ্দিন, দৈনিক স্পন্দনের এস এম মামুন, মুক্তির লড়াই পত্রিকার শাহিনুর রহমান পিন্টু, দৈনিক পূর্বাঞ্চল ও আমাদের সময়ের মানিক ঘোষ, গ্রামের কন্ঠ ও আমাদের কন্ঠের আসাদুজ্জামান সনেট, দৈনিক কল্যাণের শামছুল করিম ইমন, বর্ণময় বাংলাদেশের সম্পাদক এহতেশাম রফিক, জি টিভির ক্যামেরা পারসন শেখ রিয়াজউদ্দিন, দীপ্ত টিভির ক্যামেরা পারসন লিংকন হোসেন, দৈনিক স্বাধীন বাংলা পত্রিকার সোহেল রানা, দিগন্ত খবরের পারভেজ হোসেন আরো অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
সাংবাদিকরা বলেন, কালীগঞ্জ থানায় নবাগত অফিসার ইনচার্জের আমন্ত্রণে মতবিনিময় সভায় অংশ নিতে নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হয়ে আমরা সাংবাদিকরা চরম হতাশ হয়েছি। আমন্ত্রণদাতা ওসি নিজে থানায় উপস্থিত না থাকা এবং পরবর্তীতে ২০ মিনিটে আসবেন বলে জানালেও দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও তার আগমন না হওয়া পেশাগত শিষ্টাচার ও সৌজন্যের পরিপন্থী।আরও দুঃখজনক বিষয় হলো, অপেক্ষাকালীন সময়ে থানার কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বা কর্মচারী সাংবাদিকদের সঙ্গে ন্যূনতম সৌজন্যমূলক আচরণ, খোঁজখবর কিংবা বসার ব্যবস্থা পর্যন্ত করেননি। এতে করে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি এক ধরনের অবহেলা ও অযাচিত অসম্মান প্রকাশ পেয়েছে বলে আমরা মনে করি।

্রিন্ট

আরও সংবদ