খুলনা | শুক্রবার | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৪ পৌষ ১৪৩২

গোপালগঞ্জে ১০ লাখ টাকাসহ সড়ক বিভাগের পিওন আটক

খবর প্রতিবেদন |
০৩:৫০ পি.এম | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫


গোপালগঞ্জে নিয়মিত চেকপোস্ট চলাকালে ১০ লাখ টাকা ও শরীয়তপুর সড়ক বিভাগের পিওনসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্প‌তিবার (১৮ ডিসেম্বর) আটক দুজনকে আদাল‌তের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠা‌নো হয়েছে। এর আগে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে তাদের আটক করা হয়।

বুধবার রাত ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের মিডিয়া গ্রুপে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠনো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

শরীয়তপুর সড়ক বিভাগের একটি কাজের দরপত্রের অনুমোদনের জন্য গোপালগঞ্জ সড়ক সার্কেলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে দেওয়ার জন্য পিওন এই টাকা এনেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।  

আটকরা হলেন- শরীয়তপুর সড়ক বিভাগের পিওন এবং মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের চর খসরু গ্রামের মৃত কালু মোল্যার ছেলে মোশারফ হোসেন (৬০) ও প্রাইভেটকার চালক শরীয়তপুর জেলার পালং থানার দক্ষিণ মধ্যপাড়া এলাকার মৃত সোহরাব ব্যাপারীর ছেলে মো. মনির হোসেন (৪০)।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোপালগঞ্জ শহরের পুলিশ লাইন্স মোড়ে নিয়মিত চেকপোস্ট চলাকালে বিকেল ৪টার দিকে একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো গ- ০৭-৬৮৪১) থামিয়ে তল্লাশি করা হয়। প্রাইভেটকারের ভেতরে থাকা একটি ব্যাগের মধ্যে দুটি খামে মোট ১০ লাখ টাকা পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাইভেটকারের আরোহী মোশারফ হোসেন অসংলগ্ন কথাবার্তা বলায় পু‌লি‌শের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে তিনি এ টাকা গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সাজ্জাদ হোসেনকে (সরকরি কর্মকর্তা) দেওয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান। চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের এতে সন্দেহ হলে উল্লেখিত প্রইভেটকার ও টাকা তারা জব্দ করেন। এ সময় পিওন ও গাড়ির চালককে আটক করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ সদর থানায় বুধবার রা‌তে পু‌লি‌শের পক্ষ থে‌কে মামলা হ‌য়ে‌ছে।

এ ব্যাপারে জানতে গোপালগঞ্জ সড়ক সার্কেলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তিনি ফোন ধরেননি। এ কারণে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারকৃত‌দের আদাল‌তের মাধ‌্য জেলহাজ‌তে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। 

্রিন্ট

আরও সংবদ