খুলনা | শনিবার | ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৬ পৌষ ১৪৩২

শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুতে সাতক্ষীরায় গায়েবানা জানাজা ও শিবিরের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা |
১১:৫৩ পি.এম | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫


ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্য্যুতে সাতক্ষীরায় সর্বদলীয় ছাত্রদের উদ্যোগে গায়েবানা জানাযা ও শহর শিবিরের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর বেলা আড়াইটার দিকে ছাত্র-জনতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে শহরের খুলনার মোড় সংলগ্ন শহীদ আসিফ চত্বরে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন শহর শিবিরের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান। 
গায়েবানা জানাজায় অংশগ্রহণকারী ছাত্রনেতারা বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের নীল নকশার শিকার হয়ে দেশের জুলাই অভ্যুত্থানের একটি নক্ষত্রের পতন ঘটেছে। আমরা নির্মম এই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হাদী ভাইয়ের আদর্শ লালন করে আমরা যাতে প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এক একজন হাদী হতে পারি সেই শপথ নিতে হবে।
শহীদ আসিফ চত্বরে গায়েবানা জানাযা নামাজের পর সেখান থেকে ইসলামী ছাত্রশিবির শহর শাখার উদ্যোগে শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নিউমার্কেট চত্বরে যেয়ে শেষ হয়। 
এ সময় ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের ‘ভারতের আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ, ‘আওয়ামী লীগের দালালেরা  হুঁশিয়ার সাবধান, ‘লাল জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার, ‘আমরা সবাই হাদী হব, গুলির মুখে কথা কব’ ‘লীগ ধর জেলে ভর”, স্লোগান দিতে শোনা যায়। বিক্ষোভ পরবর্তি নিউমার্কেট চত্বরে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন শহর জামায়াতের সেক্রেটারী খোরশেদ আলম, শহর শিবির সেক্রেটারী মেহেদী হাসান, সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান, সমন্বয়ক, আরাফাত হোসেন,  নাজমুল হোসেন রনি প্রমুখ। 
সভায় শহর জামায়াতের সেক্রেটারী খোরশেদ আলম  বলেন  আমরা যুগে যুগে দেখেছি ফ্যাসিবাদীরা গুপ্তভাবে হত্যা করে। যুগে যুগে যারা ফ্যাসিবাদ, জুলমবাজ এবং কালচারাল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, তখন সন্ত্রাসীরা তাদেরকে হত্যা করার জন্য নীল নকশা করেছে। হাদীকেও সেভাবেই হত্যা করা হয়েছে। জুলাই আন্দোলনের পর অনেক জুলাই যোদ্ধা নৈতিকতা বিসর্জন দিলেও আমাদের নেতা হাদী তাঁর নৈতিকতার সর্বোচ্চ স্থান ধরে রেখেছে। 
সমাবেশে শিবির সেক্রেটারী মেহেদী হাসান বলেন জুলাই আন্দোলনে অগ্রভাগে থেকে যারা কাজ করেছে তাদের মধ্যে শরীফ ওসমান হাদী অন্যতম। মধ্যযুগীয় কায়দায় তাঁর মাথায় গুলি তাকে হত্যা করা হয়েছে। এই ক্ষতি হয়তো বাংলাদেশ আর কখনো পূরণ করতে পারবে না।  নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে যারা কাজ করবে তাদের পিছনে অন্যতম ভূমিকা পালনকারী হিসেবে থাকবে ওসমান হাদী। ওসমান হাদীর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধ বনিতা থেকে শুরু করে যখন গ্রামে গঞ্জে পৌঁছে যায়, তখন একটি পক্ষ তা মেনে নিতে পারেনি। ফ্যাসিবাদী খুনী হাসিনার পরিকল্পনায় এবং যারা ভারতীয় আধিপত্য কায়েম করতে চায়, তাদের নীলনকশায় তাকে শহীদ করা হয়েছে। আমরা আহŸান জানাতে চাই, সরকার দ্রুত সময়ে মধ্যে যদি হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে না পারে তাহলে মসনদে বসে থাকার তাদের নৈতিক কোনো অধিকার নাই।

 

্রিন্ট

আরও সংবদ