খুলনা | শনিবার | ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৬ পৌষ ১৪৩২

বটিয়াঘাটায় ঠিকাদার অপহরণ করে চাঁদা দাবি : সন্ত্রাসী বাপ্পি মলি­ক গ্রেফতার

বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি |
১১:৫৫ পি.এম | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫


বটিয়াঘাটার ভান্ডারকোর্ট ইউনিয়নে অপহরণ করে চাঁদা দাবির ঘটনায় বাপ্পি মলি­ক নামে এক দুষ্কৃতিকারীকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এ বিষয়ে ভিক্টিম ওলিয়ার রহমান (৫৩) বাদী হয়ে তিন জনকে আসামি করে  বটিয়াঘাটা থানায় একটি চাঁদাবজি মামলা করেছেন।
ভিক্টিম অলিয়ার রহমান জানান তিনি একজন ঠিকাদার। রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র তার একটি কাজ চলে। সেখানে স্থানীয় কিছু লোকজন দিয়ে কাজ করান। ভান্ডারকোর্ট এলাকার মাহফুজুর মলি­কের পুত্র বাপ্পি মলি­ক ১৮ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে ফোন করে কাজের জন্য তাকে কিছু লোক দেয়ার কথা বলে ভান্ডারকোর্ট বটতলায় ডেকে নিয়ে আসে। সেখান থেকে পাশের নির্মল কুমার দে’র পুত্র উত্তম কুমার দে-এর বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে এক কাপ চা খেতে দেয়। এর মধ্যে কয়জন মিলে ধস্তাধস্তি করে এবং বাপ্পি তার কাছে থাকা নগদ টাকা, চেইন ও একটি আংটি নিয়ে নেয়। পরে সেখান থেকে নদীর পাশে একটি ঘেরে নিয়ে হাত পা বেঁধে ঝুলিয়ে মুখে টেপ মেরে মারধর করে এবং ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে তাকে মেরে নদীতে ফেলে দেয়ার হুমকি দেয়। তখন ভিকটিম বলেন, আমার কাছে এত টাকা নাই, এখন ৫ লক্ষ টাকা আছে, এই নিয়ে আমার জীবন ভিক্ষা দেন। অপহরনকারি বাপ্পি ভিক্টিমকে ফোন করে টাকা আনতে বললে তার ভাইপো হাসানকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে তাকে ছড়িয়ে নেয়ার কথা বলে। ভাইপো হাসান প্রসাশনকে অবগত করলে ভান্ডারকোর্ট ক্যাম্পের আইসি শরিফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে আসামি বাপ্পি মলি­ককে গ্রেফতার এবং ওলিয়ারকে উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে বটিয়াঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আসামিকে গ্রেফতার করা হয় এবং চাঁদাবাজি মামলায় তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে বাপ্পির নামে দোকান চুরিসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ