খুলনা | শনিবার | ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৬ পৌষ ১৪৩২

শহীদ হাদিকে সংসদ প্লাজা থেকে অশ্রুসিক্ত বিদায়, শাহবাগমুখী জনস্রোত

খবর প্রতিবেদন |
০৩:১৬ পি.এম | ২০ ডিসেম্বর ২০২৫


ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির জানাজা জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণে সম্পন্ন হয়েছে। জানাজা শেষে হাদির মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।

এদিকে জানাজা শেষে উপস্থিত জনসাধারণকে শাহবাগে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে লাখ লাখ জনস্রোত এখন শাহবাগের দিকে রয়েছে।

জানাজার আগমুহূর্তে পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া বক্তব্যে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের কোনো ধরনের সহিংসতার আহ্বানে সাড়া না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইনকিলাব মঞ্চ থেকে সব ধরনের সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

জাবের বলেন, এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও হাদির ওপর হামলাকারীকে গ্রেফতার করা হয়নি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদাবক্স চৌধুরীকে সপ্তাহব্যাপী তাদের পদক্ষেপ সম্পর্কে জনগণকে জানাতে হবে।

দেখা যায়, শাহবাগের একপাশের রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্যপাশে ছাত্র-জনতাসহ স্বেচ্ছাসেবকরা শৃঙ্খলা মেনে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন ওসমান হাদির জন্য। শেষবারের জন্য তাকে দেখা কিংবা ছোঁয়ার জন্য।

আবদুল কালাম নামে একজন বলেন, ‘হাদি ভাই আমাকে চেনেনা। তবে তার সঙ্গে আমি একবার হাত মিলিয়েছিলাম। এটা আমার সৌভাগ্য।’

শরীফ হাসান বলেন, ‘আমরা শহীদ ওসমান শরিফ হাদির জন্য অপেক্ষা করছি। শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য স্বেচ্ছাসেবক এখানে রয়েছে। শেষবার তাকে দেখতে পাব এ আশায় এখানে এসেছি।’

ওসমান হাদির দাফন ঘিরে শাহবাগের দুই পাশে পুলিশ অবস্থান করছে। যাতে ওসমান হাদির মরদেহের আসার আগে বা পরে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।

একজন পুলিশ সদস্য বলেন, ওসমান হাদির দাফনকে ঘিরে কেউ যাতে অন্যায় সুযোগ নিতে না পারে সেজন্য আমরা প্রস্তুতি। আমরা চাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে বজায় থাকে।

১২ ডিসেম্বর দুপুর ২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে রিকশাযোগে যাওয়ার সময় হাদিকে মোটরসাইকেলে আসা দুই ব্যক্তি অনুসরণ করে। এক পর্যায়ে তাকে বহনকারী অটোরিকশার কাছে গিয়ে তার মাথার কাছে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে। পরে তারা পালিয়ে যায়। ‎‎গুরুতর অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে একটি অপারেশন শেষে তাকে নেওয়া হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। এরপর আরও উন্নত চিকিৎসার সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসাপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

্রিন্ট

আরও সংবদ