খুলনা | শনিবার | ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৬ পৌষ ১৪৩২

মোনাজাতে হাদির বড় ভাই

আল্লাহ ভাইকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন

খবর প্রতিবেদন |
০৫:৫১ পি.এম | ২০ ডিসেম্বর ২০২৫


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে দাফন করা হয়েছে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ ওসমান হাদিকে। দাফন শেষে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক মোনাজাত পরিচালনা করেন। এসময় তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আল্লাহ আমার ভাইয়ের শাহাদাত কবুল করুন’।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে মোনাজাতে আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আল্লাহ আমার ভাই শরিফ ওসমান হাদিকে কবুল করুন এবং শহীদ হিসেবে মর্যাদা দেন। তার জীবনের সব গুনাহ মাফ করে দেন। পরিবারকে এই শোক সইবার শক্তি দেন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ যারা শরিফ ওসমান হাদির সঙ্গী ছিলেন এবং যারা অন্যায় ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন– সবার জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন। একইসঙ্গে রেখে যাওয়া ইনকিলাব মঞ্চ এবং তার করা সব কাজ আগামীতেও এগিয়ে নেওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে তৌফিক প্রার্থনা করা হয়।

এর আগে বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিকের ইমামতিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে তার জানাজা শুরু হয়। জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা অংশগ্রহণ করেন।

জানাজার পূর্বে ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘দিবালোকে রাজধানী ঢাকায় জুমার নামাজের পর প্রকাশ্যে গুলি করে একজন মানুষকে হত্যা করা হলো। অথচ সাত-আট দিন পেরিয়ে গেলেও খুনিরা ধরা পড়েনি। যদি তারা এ সময়ের মধ্যে সীমান্ত পার হয়ে যেতে পারে, তাহলে তা জাতির জন্য চরম লজ্জার বিষয়।’

ওসমান হাদির ভাই বলেন, ‘পাঁচ থেকে সাত ঘণ্টার মধ্যে তারা কীভাবে দেশ ছাড়ল—এই প্রশ্ন আমি জাতির কাছে রেখে গেলাম। আমার কোনো ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া নেই। আমার ভাই ওসমান হাদি শহীদ হয়েছে। শহীদ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা তার নিজের মধ্যেই ছিল। আপনারা তার বক্তব্য শুনেছেন।’

এ সময় আবু বকর সিদ্দিক দ্রুত হত্যাকারীদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

্রিন্ট

আরও সংবদ