খুলনা | রবিবার | ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৬ পৌষ ১৪৩২

ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবী ফের চার দিনের রিমান্ডে

খবর প্রতিবেদন |
০১:২০ এ.এম | ২১ ডিসেম্বর ২০২৫


ইনকিলাব মঞ্চের আহবায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ তিনজনকে ফের চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, মাইক্রোবাস চালক নুরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদ এই আদেশ দেন।
ফের রিমান্ডে নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু এবং বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা।
তিনজনকে সন্ধ্যায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেককে চার দিনের রিমান্ডে পাঠানোর সিদ্ধান্ত দেয়।
এর আগে, ১৫ ডিসেম্বর এই তিনজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। ১৪ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ থেকে সামিয়া ও সিপু এবং ঢাকা থেকে মারিয়াকে আটক করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনার সূত্রপাত ১২ ডিসেম্বর। জুমার নামাজের পর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে রিকশায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা হাদির মাথায় গুলি চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে হাদিকে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়। তবে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তিনি মারা যান।
হাদিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রবিবার ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে হাদির মৃত্যুতে মামলাটি হত্যার দন্ডবিধি ৩০২ ধারায় রূপান্তরিত হয়। আদালত ৩০২ ধারা সংযোজনের আবেদন মঞ্জুর করেন। এই মামলায় ফয়সাল করিম মাসুদকে আসামি করা হয়েছে। সঙ্গে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়। মামলার তদন্তের দায়িত্ব ডিবি কে দেওয়া হয়েছে।
মোটরসাইকেলের মালিক মোঃ আব্দুল হান্নানকেও ১৪ ডিসেম্বর ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছিল। তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। এ ছাড়া ফয়সালের সহযোগী কবির ওরফে দাঁতভাঙ্গা কবির সাত দিনের রিমান্ডে আছে। ফয়সালের বাবা-মা ইতিমধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে কারাগারে আছেন।
মাইক্রোবাস চালক নুরুজ্জামান, যিনি ফয়সালকে পালাতে সহায়তা করেছিলেন, তিন দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি ফয়সালের পালানোর সহযোগিতার অভিযোগে ১৭ ডিসেম্বর তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ