খুলনা | মঙ্গলবার | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৮ পৌষ ১৪৩২

সেনাবাহিনী-বিজিবির চলমান সাঁড়াশি অভিযান

শামনগরের চার শীর্ষ চোরাকারবারির স্বেচ্ছায় সেনা ক্যাম্পে আত্মসমর্পণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা |
০২:২০ এ.এম | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫


সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার চার কুখ্যাত চোরকারবারী ও মানব পাচারকারী সেনা ক্যাম্পে আত্মসমর্পণ করেছেন। রোববার বিকেলের দিকে তারা সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ সেনা ক্যাম্পে আত্মসমর্পণ করেন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রোববার রাতে তাদেরকে শ্যামনগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। 
এর আগে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত সেনা বাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা তাদের ধরতে শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে। পরে তারা রোববার বিকেলে স্বেচ্ছায় সেনাক্যাম্পে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে। আত্মসমর্পকারী চোরাকারবারীরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার সাহেবখালী গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম ওরফে নেদা কয়াল, পশ্চিম কৈখালী গ্রামের মোঃ রেজাউল ইসলাম, কৈখালী গ্রামের মোঃ হাফিজুর রহমান ও পূর্ব কৈখালী গ্রামের মোঃ আব্দুর রহিম। তারা সুন্দরবনের মধ্যভাগসহ সীমান্ত এলাকা দিয়ে আড়াআড়ি এবং কোন কোন ক্ষেত্রে সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে চোরাচালানসহ মানব পাচার করে থাকেন। ইতিপূর্বে তাদের সহযোগী জামির আলী জামু, আরজ খান, মামুন কয়ালসহ আরো বেশ কয়েকজন অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তপথে মানব পাচারসহ মাদকের চালান পারাপার এবং ১২/১৪ হাজার টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের অভিযোগ রয়েছে। এমনকি এসব অপরাধীদের অনেকের বিরুদ্ধে সুন্দরবনে জলদস্যুদের সাথে যোগসাজশ এবং অস্ত্র গোলাবারুদ সরবরাহেরও অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে উপজেলার শীর্ষ চার চোরাকারবারির আত্মসমর্পণের খবরে এলাকাবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গ্রামবাসী জানান গুলি, আসলামসহ নৈকাটী এবং দুরমুজখালী ও গোলাখালীর হাতেগোনা আরও কয়েকজন অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারলে সুন্দরবন এবং তদসংলগ্ন কৈখালী সীমান্ত দিয়ে মানব পাচারসহ চোরাচালান একেবারে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ খালেদুর রহমান জানান, যৌথ বাহিনীর অভিযানের পর চার চোরাকারবারী ও মানব পাচারকারী সেনা ক্যাম্পে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। তাদেরকে রাতে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব অপরাধীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সোমবার সকালে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থার অংশ হিসেবে আদালতের ম্যাধমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ