খুলনা | বুধবার | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১০ পৌষ ১৪৩২

তুরস্কে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত লিবিয়ার সেনাপ্রধান

খবর প্রতিবেদন |
০১:১৯ পি.এম | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

 

তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার সেনা প্রধান মোহাম্মেদ আলি আহমেদ আল-হাদ্দাদ এবং তার সঙ্গে থাকা চারজন লিবিয়ান কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ ডেবেইবা।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এটিকে ‘মর্মান্তিক দুর্ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। আঙ্কারা থেকে ফেরার পথে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ ডেবেইবা তার বিবৃতিতে বলেন, ‘এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা জাতির, সামরিক প্রতিষ্ঠানের এবং সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় ক্ষতি। আমরা এমন ব্যক্তিদের হারালাম যারা আন্তরিকতা, দায়িত্ববোধ এবং দেশপ্রেমের সঙ্গে তাদের দেশকে সেবা করেছেন।’

দুর্ঘটনায় নিহত অন্যরা গ্রাউন্ড ফোর্সেস চিফ অফ স্টাফ আল-ফিতৌরি ঘারিবিল, মিলিটারি ম্যানুফ্যাকচারিং অথরিটির পরিচালক মাহমুদ আল-কাতাউই, আল-হাদ্দাদের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আল-আসাউই দিয়াব এবং মিলিটারি ফটোগ্রাফার মুহাম্মদ ওমর আহমেদ মাহজুব।

আলজাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে একজন তুর্কি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে উল্লেখ করেছে, ওই দুর্ঘটনায় তিনজন ক্রু মেম্বারও নিহত হয়েছেন। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বৈদ্যুতিক ত্রুটির সমস্যা দেখা দিলে বিমানটি থেকে জরুরি অবতরণের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। তবে তারা আর নিরাপদে ফিরতে পারেননি।

প্রেসিডেন্সির কমিউনিকেশন ডিরেক্টরেটের প্রধান বুরহানেত্তিন দুরান সামাজিক মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন, ‘ লিবিয়ার সেনা প্রধান মোহাম্মেদ আল-হাদ্দাদ, তার চারজন সহযোগী এবং তিনজন ক্রু সদস্য নিয়ে উড্ডয়ন করেছিল প্রাইভেট জেট বিমানটি। কিছুক্ষণের মধ্যেই বৈদ্যুতিক ত্রুটি দেখা দিলে তারা বিমান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রকে অবহিত করে জরুরি অবতরণের অনুমতি চেয়েছিল।’

তুরস্কের আভ্যন্তরীণ মন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া জানান, বিমানটি লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির উদ্দেশে আঙ্কারা থেকে উড়ার পর দুই কিলোমিটার দূরে কেসিককাভাক গ্রাম সংলগ্ন হায়মানা অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়।

আল জাজিরাকে তুরস্কের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তদন্তে প্রযুক্তিগত ত্রুটি ধরা পড়েছে। সন্ত্রাস বা কোনো আক্রমণের আলামত এখন পর্যন্ত মেলেনি।

তুর্কি সমকক্ষ ও অন্যান্য সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করতে আঙ্কারায় এই সফরে এসেছিলেন আল-হাদ্দাদ ও তার সঙ্গীরা। তারা যে প্রাইভেট জেটে করে তুরস্ক সফরে আসেন, সেটি লিবিয়া সরকারের ভাড়া করা বিমান। 

্রিন্ট

আরও সংবদ