খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১০ পৌষ ১৪৩২

সফরসঙ্গী হলেন যারা

লন্ডনে বিমানবন্দরে তারেক রহমান, রওয়ানা দেবেন মধ্যরাতের ফ্লাইটে

খবর প্রতিবেদন |
১১:৩০ পি.এম | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫


লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান, মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান তার সঙ্গে রয়েছেন।

স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে তিনি বিমানবন্দরে পৌঁছান। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর পর নিজ দেশে ফিরছেন তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার পর তিনি বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা করেন। রাত সোয়া ১২টায় তিনি বাংলাদেশের উদ্দেশে বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিজি-২০২ বহনকারী ফ্লাইটটি হিথ্রো বিমানবন্দর ছাড়বে।

তারেক রহমান বিমানবন্দরে আসার আগে সফরসঙ্গীরাদের চেক-ইন করতে দেখা গেছে। এ ফ্লাইটে তারেক রহমানের পক্ষে ৬টি টিকিট কাটা হলেও অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী নিজেদের উদ্যোগে টিকিট টিকিট কেটে ফিরছেন।

তারেক রহমানের সফরসঙ্গী হলেন যারা
সূত্র জানায়, এই ফ্লাইটের বিজনেস ক্লাসে তারেক রহমানের পাশাপাশি আরও পাঁচজন সফরসঙ্গীর টিকিট কনফার্ম রয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন তারেকের স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান।

এছাড়া তারেক রহমানের মিডিয়া টিমের প্রধান আবু আবদুল্লাহ সালেহ, পারসোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট আব্দুর রহমান সানি ও তাবাসসুম ফারহানা নামে আরেকজন আছেন। টিকিটের মোট মূল্য ৯ হাজার ৮৫৬ ব্রিটিশ পাউন্ড, বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ১৬ লাখ টাকা।

দেড় যুগ পর তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে দেশজুড়ে রাজনৈতিক অঙ্গন, নেতাকর্মী, সমর্থক এবং সর্বসাধারণের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ, কৌতূহল ও আবেগের সঞ্চার হয়েছে। এ প্রত্যাবর্তন শুধু একজন নেতার দেশে ফেরা নয়, বরং সর্বজনীন প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষার মেলবন্ধন, যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ জনসমাগমের সম্ভাবনা।

তারেক রহমানকে বহনকারী ফ্লাইটটি সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। অবতরণের পরপরই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা ও প্রটোকল ব্যবস্থাপনা কার্যকর করা হবে।

তারেক রহমানের প্রথম ও প্রধান অগ্রাধিকার হলো সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তার গুরুতর অসুস্থ মমতাময়ী মা, বাংলাদেশের অভিভাবক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যাওয়া।

তবে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে, জনগণের প্রত্যাশার প্রতি সম্মান জানিয়ে, যাত্রাপথের মাঝামাঝি রাজধানীর ‘জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফিট) এলাকায় তিনি অতি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দেশবাসীর উদ্দেশে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন। সেখান থেকে হাসপাতালে গিয়ে দেশনেত্রীর পাশে থাকবেন, ও সেখান থেকে সরাসরি গুলশানে নিজ বাসায় যাবেন।

বহুলআকাঙ্ক্ষিত এই প্রত্যাবর্তনকে অনেকেই দেখছেন বিরাজমান অস্থির পরিস্থিতিতে জনগণের ঐক্য সৃষ্টি এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক দেশ প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে। সে কারণেই তারেক রহমানের ফেরা কেবল একটি ব্যক্তিগত প্রত্যাবর্তন নয়; বরং এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জনগণের গভীর আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ