খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১০ পৌষ ১৪৩২

বিএনপি নেতাকর্মী ও দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রাণচাঞ্চল্য

অবর্ণনীয় নির্যাতন, কারাবাস আর নির্বাসনে পেরিয়ে আজ দেশের মাটিতে পা রাখছেন তারেক রহমান

বিশেষ প্রতিনিধি |
০১:৩৭ এ.এম | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫


অবর্ণনীয় নির্যাতন, কারাবাস আর নির্বাসনের দীর্ঘ ১৮ বছর পেরিয়ে আজ জন্মভূমিতে ফিরছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই দীর্ঘ সময়ে প্রবাসে থেকেও নেতৃত্ব দিয়ে দলকে সংগঠিত করার পাশাপাশি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রাম এবং চব্বিশের জুলাই আন্দোলনেও ছিল তারেক রহমানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তাঁর দেশে ফেরার ঘোষণার পর থেকেই বিএনপি নেতাকর্মী ও দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাজ করছে প্রাণচাঞ্চল্য।
বহুল আলোচিত ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি তথা এক-এগারোয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সময়ে গ্রেফতারের পর তারেক রহমান নির্যাতনের শিকার হন। নির্যাতনের আঘাত আর মিথ্যা মামলা নিয়ে প্রায় ১৮ বছর আগে দেশ ছেড়েছিলেন যিনি, তিনিই বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন বহুল আকাক্সিক্ষত ব্যক্তিত্ব। যার অপেক্ষায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও সমগ্র বাংলাদেশ।
এক-এগারোর পর তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সময় মইনুল রোডের বাসা থেকে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ গ্রেফতার করা হয় বিএনপি’র তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব তারেক রহমানকে। এরপর অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। ওই বছর ২৮ নভেম্বর আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিপীড়নের বর্ণনা তুলে ধরেছিলেন তিনি।
রিমান্ড, নির্যাতন, ৫৫৪ দিন বা ১৮ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান তারেক রহমান। লন্ডনে যাওয়ার পরও তাঁর ওপর থামেনি মামলার খড়গ। সেনাসমর্থিত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমলে ১৩টি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাঁর বিরুদ্ধে ৭২টি মামলা হয়। এর মধ্যে অন্তত পাঁচটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় তাঁকে। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আসামি মুফতি হান্নানকে দীর্ঘদিন রিমান্ড নির্যাতন করে এক বিতর্কিত স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়। ওই স্বীকারোক্তিকে আমলে নিয়ে একুশে আগস্ট মামলার বিচার শুরুর পর ফের সম্পূরক চার্জশিট দিয়ে সেখানে তারেক রহমানসহ আরো কয়েকজনকে জড়ানো হয়। এ মামলায় তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়। পরে এ মামলায় আপিলে উচ্চ আদালতে খালাস পান তারেক রহমানসহ সকল আসামি।
রায়ের পর আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ‘একইসঙ্গে মুফতি হান্নান দু’টি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আমরা বলেছিলাম, ৪০০ বছরের ইতিহাসে ভারতীয় উপমহাদেশে দ্বিতীয় জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে কাউকে সাজা দেওয়ার নজির নেই।’ রায়ে আদালত বললেন, ‘দ্বিতীয় জবানবন্দি তিনি যেটি করেছিলেন, সেটিও পরে মুফতি হান্নান প্রত্যাহার করেন। এজন্য এ জবানবন্দির কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। এর ফলে উচ্চ আদালতে বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করেন।’
এমনকি গণমাধ্যমেও উচ্চ আদালতের নির্দেশ দেখিয়ে দীর্ঘ সময় তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করেই সুদূর লন্ডনে থেকেই পরিচালনা করেন সংগঠন। ওয়ার্ড থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালই রক্ষা করে গেছেন যোগাযোগ। এরই মধ্যে তাঁর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ ও উজ্জীবিত হয়েছে বিএনপি।
তাঁর নেতৃত্বেই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামে নামে বিএনপি। ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানেও ছিল তারেক রহমানের অবদান। দলটির নেতাকর্মীরা তাঁর দিকনির্দেশনাতেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে সর্বশক্তি নিয়ে।
তাঁর বিরুদ্ধে আনা সকল মামলায় চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আইনি লড়াইয়ে মুক্ত হন তারেক রহমান।
দীর্ঘ দেড় যুগ পর তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে দেশজুড়ে রাজনৈতিক অঙ্গন, নেতাকর্মী, সমর্থক এবং সর্বসাধারণের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ, কৌতূহল ও আবেগের সঞ্চার হয়েছে। এই প্রত্যাবর্তন শুধু একজন নেতার দেশে ফেরা নয়, বরং সর্বজনীন প্রত্যাশা ও আকাক্সক্ষার মেলবন্ধন, যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ জনসমাগমের সম্ভাবনা।
ইতিহাস বলে, রাজনীতিতে সময় সবকিছুর উত্তর দিয়ে দেয়। তারেক রহমানের বেলায় এই কথাটি যেন সত্য হয়ে ধরা দিয়েছে। একদিন তিনি পাহাড়সম অভিযোগ মাথায় নিয়ে চিকিৎসার জন্য পাড়ি দিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যে এবং দীর্ঘদিন নির্বাসনে ছিলেন। আজ দেড় যুগ পর তিনি দেশের মাটিতে ফিরে আসছেন আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি জনপ্রিয়তা নিয়ে, গণমানুষের নেতা আর জাতির ঐক্যের প্রতীক হয়ে। 
তারেক রহমানের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পথ পরিক্রমা মসৃণ ছিল না। ২০০১-২০০৬ সালের শাসনামলে তাঁর বিরুদ্ধে বিতর্কের পাহাড় তৈরি করা হয়েছিল। মাথার উপরে ঝুলতে থাকে অসংখ্য মামলা। তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ, ১/১১-এর সেনা সমর্থিত সরকার এবং সুশীল সমাজের একটি প্রভাবশালী অংশ তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগের আঙ্গুল তুলতে থাকে। 
অভিযোগ ছিল, তারেক রহমানের রাজনৈতিক কার্যালয় বনানীর হাওয়া ভবন ছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাইরে ক্ষমতার বিকল্প কেন্দ্র বা ‘প্যারালাল গভর্নমেন্ট’। তবে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরুতর এবং স্পর্শকাতর অভিযোগটি আনা হয় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকে কেন্দ্র করে। ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় এবং পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সম্পূরক চার্জশিটের মাধ্যমে মুফতি হান্নানের জবানবন্দির ভিত্তিতে তাঁকে এই হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়।
আলোচিত ১/১১ সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ গ্রেফতার হন তারেক রহমান। রিমান্ডে থাকাকালীন তাঁর ওপর চালানো হয় অমানবিক শারীরিক নির্যাতন। এতে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্ত হন। ১৮ মাস কারাভোগের পর তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। এরপর কেটেছে ১৭ বছরেরও বেশি সময়। ছুঁয়ে দেখার সুযোগ হয়নি দেশের মাটি। 
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় বসে। তারা গণতন্ত্রের পথকে অবরুদ্ধ করার জন্য ২০১১ সালের ৩০ জুন পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত¡াবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ রুদ্ধ করে দেয়। বেগম খালেদা জিয়াকে তাঁর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। একটি জবরদস্তিমূলক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। 
২০১৮ সালের ফেব্র“য়ারি মাসে দুর্নীতির মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার সাজা হয় এবং তাঁকে কারাবরণ করতে হয়। বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে প্রায় ৮ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে দলের হাল ধরেন তারেক রহমান। সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান তারেক রহমান। এরপর থেকেই তিনি দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নেমে পড়েন। গুম, খুন আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতে সার্বক্ষণিক তৎপর ছিলেন তিনি। 
যুক্তরাজ্যে নির্বাসনের সময় ব্যক্তিগত জীবনেও তারেক রহমানের ওপর নেমে আসে কঠিন দুঃসময়। ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু তাঁকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। একইসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন ও তাঁর মা বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বহুবার কারাবাস, অসুস্থতা ও চিকিৎসা সংকটের মুখোমুখি হন। এমন বাস্তবতায় দূরবর্তী অবস্থান থেকেও তারেক রহমান দলকে ধরে রাখার কাজে স্থিরভাবে মনোনিবেশ করেন। 
তারেক রহমান জানতেন, ফ্যাসিস্ট শাসকগোষ্ঠী তাঁকে রাজনৈতিকভাবে নির্মূল করতে চায়। ফলে তিনি নিজেকে সামনে এনে ব্যক্তি-কেন্দ্রিক আন্দোলনের পরিবর্তে জনগণ-কেন্দ্রিক একটি প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলেন। তিনি সুস্পষ্ট করে দেনম ‘বাংলাদেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে’, যা দলীয় নেতাদের মতে তাঁর ধৈর্য ও স্থিতধী নেতৃত্বের প্রমাণ।
দীর্ঘ সময় সুদূর যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত থাকলেও দলীয় সিদ্ধান্ত, কৌশলগত পরিকল্পনা ও রাজনৈতিক নির্দেশনায় এখন তিনি বিএনপি’র কেন্দ্রীয় চালিকাশক্তি। দলটির শীর্ষস্থানীয় থেকে কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তারেক রহমান। তাঁর রাজনৈতিক চরিত্রের মধ্যে দলের কর্মী-সমর্থকেরা খুঁজে পাচ্ছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে। নেতাকর্মীরা বলছেন, একজন নেতার নেতৃত্বের মূল শক্তি থাকে তাঁর ন্যায়বোধ আর মানসিতায়। তাঁর আদর্শের মহিমায়। তারেক রহমান তেমনই একজন নেতা, যিনি দূর থেকেও ছিলেন সবচেয়ে কাছে। 
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন : ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিছক ব্যক্তিগত বা দলীয় কোনো বিষয় নয়, এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক আবেগঘন ও গভীর অর্থবহ অধ্যায়। তাঁর এই প্রত্যাবর্তনে বিএনপি’র নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে নতুন প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। তাদের বিশ্বাস, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপোড়েনের পর দলকে নতুন করে সংগঠিত করবে। পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে তৈরি হবে নতুন বাস্তবতা। তাঁর নেতৃত্বে দেশে ফিরবে গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকার এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। ফ্লাইটটি বুধবার যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায়) লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। এর আগে দেশে ফেরার উদ্দেশ্যে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে চেক ইন করেন তারেক রহমান। দেশের উদ্দেশ্যে বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮ায় তিনি লন্ডনের বাসা বের হন। তারেক রহমানের সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসেবে একই বিমানে তার সহধর্মিণী ডাঃ জুবাইদা রহমান ও কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানও আসছেন।
সব ঠিক থাকলে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বহনকারী উড়োজাহাজটি আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। অবতরণের পরপরই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা ও প্রটোকল ব্যবস্থাপনা কার্যকর করা হবে।
ঢাকায় অবতরণের আগে তারেক রহমানকে বহনকরা উড়োজাহাজটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ঘণ্টার যাত্রা বিরতি করবে। ঢাকা বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাবেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। উচ্ছ¡সিত নেতা-কর্মীরা বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষায় থাকবেন।
বিএনপি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারেক রহমানের প্রথম ও প্রধান অগ্রাধিকার হলো সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর গুরুতর অসুস্থ মমতাময়ী মা, বাংলাদেশের অভিভাবক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যাওয়া। তবে, বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে, জনগণের প্রত্যাশার প্রতি সম্মান জানিয়ে, যাত্রাপথের মাঝামাঝি রাজধানীর ‘জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফিট) এলাকায় দলের পক্ষ থেকে তৈরি করা সংক্ষিপ্ত গণঅভ্যর্থনা মঞ্চে তিনি অতি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন। সেখান থেকে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে মায়ের কাছে যাবেন।
বুধবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তারেক রহমান। দেশে প্রত্যাবর্তনের পর তিনি ৩০০ ফিট এলাকায় গণঅভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে নেতাকর্মী ও দেশবাসীর উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেবেন। এরপর সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে মাকে দেখতে যাবেন। সেখানে তিনি মায়ের পাশে একান্তে কিছু সময় কাটাবেন। পরে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশান এ্যাভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাসায় উঠবেন তারেক রহমান।’

্রিন্ট

আরও সংবদ

আঞ্চলিক

প্রায় ৩ ঘণ্টা আগে