খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১১ পৌষ ১৪৩২

আই হ্যাভ আ প্ল্যান ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি: তারেক রহমান

খবর প্রতিবেদন |
০৪:২৮ পি.এম | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

 

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আই হ্যাভ এ প্ল্যান। রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় তার দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে দেওয়া গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।

মার্টিন লুথার কিং–এর ‘আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম’ উক্তির উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন ‘আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান- ফর মাই পিপল, ফর মাই কান্ট্রি।’ আর এই প্ল্যান হলো দেশের মানুষের স্বার্থে, দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য। যদি দেশের মানুষের জন্য সেই প্ল্যানকে বাস্তবায়ন করতে হয়, প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা আমাদের লাগবে। আপনারা যদি পাশে থাকেন, সহযোগিতা করেন, আমরা ইনশাআল্লাহ আই হ্যাভ আ প্লান বাস্তবায়নে সক্ষম হবো।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, যদি সেই প্ল্যান, সেই কার্যক্রম, সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করতে হয়– প্রিয় ভাই-বোনেরা, এই জনসমুদ্রে যত মানুষ উপস্থিত আছেন এবং সারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পক্ষে যত মানুষ আছেন, প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা আমার লাগবে। প্রত্যেকটি মানুষের সহযোগিতা আমাদের লাগবে। আপনারা যদি আমাদের পাশে থাকেন, আপনারা যদি আমাদেরকে সহযোগিতা করেন, ইনশাআল্লাহ আমরা ‘আই হ্যাভ এ প্ল্যান’ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।

দেশবাসীর উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, আসুন আমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে হাত তুলে প্রার্থনা করি। হে রাব্বুল আলামিন, হে একমাত্র মালিক, হে একমাত্র পরওয়ারদিগার, হে একমাত্র রহমত দানকারী, হে একমাত্র সাহায্যকারী—আজ আপনি যদি আমাদেরকে রহমত দেন, তাহলে আমরা এই দেশের মানুষ কঠোর পরিশ্রম করার মাধ্যমে আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারব। আজ যদি আল্লাহর রহমত এই দেশ এবং এই দেশের মানুষের পক্ষে থাকে; আল্লাহর সাহায্য, আল্লাহর দয়া এই দেশের মানুষের উপরে থাকে– ইনশাআল্লাহ আমরা আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।

তিনি বলেন, প্রিয় ভাই-বোনেরা, আজ আসুন আমরা সকলে মিলে প্রতিজ্ঞা করি– ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে যারা আসবে, আমরা সকলে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যে ন্যায়পরায়ণতা, সেই ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ পরিচালনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

তারেক রহমান বলেন, একাত্তর সালে আমাদের শহীদরা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন এই রকম একটা বাংলাদেশ গড়ার জন্য। যেকোনো মূল্যে আমাদের এদেশের শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমরা দেশের শান্তি চাই, আমরা দেশের শান্তি চাই, আমরা দেশের শান্তি চাই।

বহুল প্রতিক্ষিত ভাষণে একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ, শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সবার জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে চাই।

আর এজন্য তিনি সবার, সব বাংলাদেশির সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি বলেন, সবাই মিলে করব কাজ, গড়ব মোদের বাংলাদেশ।

তারেক রহমান বলেন, আমি আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পেরেছি। আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি ৭১ সালে লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিন হয়েছিল। …২৪ সালে ৭১ সালে যেমন মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, সর্বস্তরের মানুষ কৃষক শ্রমিক, দল-মত শ্রেণিপেশা নির্বিশেষে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এদেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছিল। আজ বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়।

তারেক বলেন, আমাদের সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার। এ দেশে পাহাড়ের, সমতলের, মুসলমান, হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই আছে। আমরা নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলাদেশে একজন নারী, পুরুষ, শিশু যেই হোক না কেন নিরাপদে ঘর থেকে বের হলে, যেন নিরাপদে ফিরতে পারে।

এই দেশে যেমন পাহাড়ের মানুষ আছে তেমনি সমতলের মানুষ আছে। আমরা চাই সকলে মিলে এমন বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যে স্বপ্ন একজন মা দেখে। অর্থাৎ নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।”

ওসমান হাদিকে স্মরণ করে তারেক রহমান বলেন, “ওসমান হাদি চেয়েছিলেন এদেশের মানুষ অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাক। ৭১ এ যারা শহীদ হয়েছে, ২৪ এ যারা শহীদ হয়েছে তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।”
 

্রিন্ট

আরও সংবদ