খুলনা | শুক্রবার | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১২ পৌষ ১৪৩২

শান্তর সেঞ্চুরি ও মুশফিকের হাফ সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে জিতল রাজশাহী

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
০৬:৫২ পি.এম | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫

 

৫ ছক্কা ও ৪ টি চারে ৩৩ বলে অপরাজিত ৬৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বিপিএলে শুরুটা করেন পারভেজ হোসেন ইমন। তবে বাঁহাতি ব্যাটারের এমন ইনিংসকে ছাপিয়ে গেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক সেঞ্চুরি করেছেন ৫৮ বলে। শান্তর সেঞ্চুরির দিনে ৩১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিকুর রহিমও। তাদের দুজনের ১৩০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে সিলেট টাইটান্সের ১৯০ রান সহজেই পেরিয়ে গেছে রাজশাহী। উদ্বোধনী ম্যাচে মিরাজের সিলেটকে ৮ উইকেটে হারিয়ে জয়ে বিপিএল শুরু করল শান্তর রাজশাহী।

জয়ের জন্য ১৯১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি রাজশাহীর। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারায় তারা। ব্যাটিংয়ের শুরু থেকেই খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না বাঁহাতি এই ওপেনার। খালেদ আহমেদের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করার চেষ্টায় মিড অনে হযরতউল্লাহ জাজাইয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৮ বলে ১০ রান করা তানজিদ। শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টা করেন সাহিবজাদা ও শান্ত। যদিও পাওয়ার প্লেতে খুব বেশি রান তুলতে পারেননি তারা দুজন।

একটু দ্রুত তোলার চেষ্টা করতে গিয়ে আউট হয়েছেন সাহিবজাদা। মেহেদী হাসান মিরাজের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে খালেদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৯ বলে ২০ রান করা পাকিস্তানি ওপেনার। পরবর্তীতে রাজশাহীকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন মুশফিক ও শান্ত। যদিও প্রত্যাশিতভাবে রান তুলতে পারছিলেন না তারা। দেখেশুনে ব্যাটিং করলেও রুয়েলের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন শান্ত।

পঞ্চাশ ছোঁয়ার পরের ওভারে নাসুম আহমেদকে টানা দুই বলে চার-ছক্কা মেরেছেন তিনি। মিরাজকেও একটি করে ছক্কা মেরেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। শান্ত ও মুশফিক মিলে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন। ইনিংসের ১৭তম ওভারের শেষ বলে ইথান ব্রুকসকে ছক্কা মেরে জুটির সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শান্ত। শেষ ওভারে ৫৮ বলে ছুঁয়েছেন নিজের সেঞ্চুরি। বিপিএলে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো সেঞ্চুরি পেয়েছেন শান্ত। ৬০ বলে ১০১ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। মুশফিক করেছেন অপরাজিত ৩১ বলে ৫১ রান।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রনি তালুকদার এবং সাইম আইয়ুবের ব্যাটে ভালো শুরু পায় সিলেট। তাদের দুজনের ৩৬ রানের জুটি ভাঙেন বিনুরা ফার্নান্দো। বাঁহাতি পেসারের বলে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ ক্যাচ দিয়েছেন ১৫ বলে ২৮ রান করে। পাওয়ার প্লে শেষে জাজাইকে ফেরান সন্দীপ লামিচানে। ডানহাতি লেগ স্পিনারের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলার চেষ্টায় স্টাম্পিং হয়েছেন ২০ রানে।

ভালো শুরু পেলেও দ্রুত রান তুলতে পারছিলেন না রনি। ৩৪ বলে ৪১ রান করা ডানহাতি ওপেনারকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন লামিচানে। নেপালের স্পিনারের বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। বাকিটা সময় অনায়াসে কাটিয়ে দিয়েছেন ইমন ও আফিফ হোসেন। তাদের দুজনের ব্যাটেই ১৯০ রানের পুঁজি পায় সিলেট। শেষ ওভারে ফেরার আগে ১৯ বলে ৩৩ রান করেন আফিফ। ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া ইমন অপরাজিত ছিলেন ৬৫ রানে। রাজশাহীর হয়ে দুইটি উইকেট পেয়েছেন লামিচানে।

্রিন্ট

আরও সংবদ