খুলনা | শনিবার | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১২ পৌষ ১৪৩২

৫ লাখ সন্ন্যাসী নিয়ে দূতাবাস ঘেরাওয়ের হুমকি শুভেন্দুর

ফের কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ, স্মারকলিপি প্রদান

খবর প্রতিবেদন |
০১:১৭ এ.এম | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫


কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন অফিসের বাইরে শুক্রবার  ফের হিন্দুত্ববাদীরা অবস্থান বিক্ষোভ দেখিয়েছে। হিন্দু সংহতি আয়োজিত এদিন বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে কোনরকম সংঘাতে লিপ্ত হয়নি। সংখ্যালঘুদের উপর সহিংসতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ বিরোধী ¯েøাগান দেয়।  পরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ডেপুটি হাইকমিশনে গিয়ে স্মারকলিপি দেয়। স্মারকলিপিতে বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দীপু দাস হত্যায় অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
এদিন বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বেও সাধু সন্তুরা সমাবেশে যোগ দেন। ঘোষণা করা হয়,এই হিন্দু নির্যাতন বন্ধ না হলে এর বিরুদ্ধে তারা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবেন। পরে শুভেন্দু অধিকারী উপ-হাইকমিশন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের জানান,  তারা স্মারকলিপির মাধ্যমে দাবি তুলেছেন, অবিলম্বে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। গুজব ছড়িয়ে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন বরদাশত করা হবে না। হিন্দু বিদ্বেষ বন্ধ করতে হবে। হিন্দু  নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। 
অন্য দিকে শুক্রবার হুগলির আরামবাগেও হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয় বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে। প্রতিবাদকারীরা দীপু দাস হত্যার বিচার দাবি করে অবিলম্বে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন বন্ধের দাবি তোলেন।
৫ লাখ সন্ন্যাসী নিয়ে ঘেরাওয়ের হুমকি শুভেন্দুর : এবার ৫ লাখ হিন্দু সন্ন্যাসী নিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসের সামনে আবারও বিক্ষোভ করেন তারা। শুক্রবার রাজ্য বিজেপির বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ হয়। এ সময় আগামী জানুয়ারিতে ৫ লাখ হিন্দু সন্ন্যাসী নিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস ঘেরাওয়ের হুমকি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বিজেপি ও সাধু সন্ন্যাসীদের এক প্রতিনিধি দল। তার আগে মিশন থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে বেগবাগান মোড়ে বিক্ষোভ থেকে ওই হুমকি দিয়েছেন শুভেন্দু।
কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশন চত্বর থেকে গেরুয়া কাপড় পরা সাধু-সন্তদের নিয়ে একটি মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বাংলাদেশের উপ-দূতাবাসের দিকে অগ্রসর হলে বেহালা বাগান মোড়ে কলকাতা পুলিশ সেটি আটকে দেয়।
এরপর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রায় ৩০ মিনিট ডেপুটি হাইকমিশনের কার্যালয়ে বৈঠকের পর শুভেন্দু অধিকারী ও প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বাইরে বেরিয়ে আসেন।
উপদূতাবাস থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলি ডেপুটি হাইকমিশনারের মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে উপদূতাবাসে এসেছিলাম।’
বৈঠক শেষে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সোমবার (২২ ডিসেম্বর) থেকে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন, সাধু-সন্ত সমাজ এবং ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এমপি ও বিধায়করা বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের কাছে তাদের আপত্তি, প্রতিবাদ ও দাবি ডেপুটি হাইকমিশনের মাধ্যমে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছেন।
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘মমতা যতই প্রাচীর করে, পুলিশ দিয়ে রাখুক, সরকারের তরফে যদি ব্যবস্থা না নেয়, তবে নতুন বছরের আগেই সব তুলে ফেলে দেব। গঙ্গাসাগর মেলায় পাঁচ লাখ সাধু যাবেন, সেখানে পূণ্যস্নান করার পর আমি তাদের পথ দেখিয়ে মিশনের সামনে নিয়ে আসব।’
তিনি বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) এক হাজার সাধু এসেছেন, তিন হাজার নাগা সন্ন্যাসী। গঙ্গাসাগরে পাঁচ লাখ সাধু যাবেন। গঙ্গাসাগরের স্নান করে ফেরার পরে আমি সব সাধুকে বাবুঘাট থেকে পথ দেখিয়ে এখানে নিয়ে আসব। কত ক্ষমতা আছে (পুলিশ কমিশনার) মনোজ ভার্মার ওই দিন দেখা যাবে।’ 
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।

্রিন্ট

আরও সংবদ