খুলনা | রবিবার | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ পৌষ ১৪৩২

অবৈধ অস্ত্র ও পেশিশক্তি নিয়ন্ত্রণ না হলে উৎসবের নির্বাচন সম্ভব নয় : টুলি

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০২:১০ এ.এম | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫


নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ জেসমিন টুলি বলেছেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং পেশিশক্তির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে একটি শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। বিগত কয়েকটি নির্বাচন নিয়ে জনমনে ব্যাপক অসন্তোষ থাকায় একটি অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান আজ অত্যন্ত জরুরি।
শনিবার সকাল ১০টায় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাসমূহের জোট ‘ভয়েস নেটওয়ার্ক’ ও ‘ইমপ্যাক্ট ইনিশিয়েটিভ’-এর যৌথ উদ্যোগে খুলনা মহানগরীর শিল্পকলা একাডেমির থিয়েটার হলে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি আরও বলেন, একটি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এই প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল অপরিহার্য। এর মাধ্যমে পর্যবেক্ষকরা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে বুঝতে ও পালন করতে সক্ষম হবেন।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘ইমপ্যাক্ট ইনিশিয়েটিভ’ প্রণীত ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ম্যানুয়াল’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় কর্মশালায়।
খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন নির্বাচনি আসন থেকে আগত তিন শতাধিক পর্যবেক্ষক এ কর্মশালায় অংশ নেন। কর্মশালায় পর্যবেক্ষণের নীতি-পদ্ধতি, নির্বাচনি আইন-বিধি ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
ভয়েস নেটওয়ার্ক-এর স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি ও ইমপ্যাক্ট ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত বক্তৃতা করেন ভয়েস নেটওয়ার্ক-এর ভাইস চেয়ারম্যান ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ সাহাবুল হক। কর্মশালার সঞ্চালনা করেন ভয়েস নেটওয়ার্ক-এর সদস্য সচিব ও এটিএন বাংলার প্রধান প্রতিবেদক একরামুল হক সায়েম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, খুলনা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুল, বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ জাহিদুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ শাহীন প্রমুখ।
তারা বক্তব্যে বলেন, সংশ্লিষ্ট সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেন, তাহলে বাংলাদেশে একটি দৃষ্টান্তমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
তারা উল্লেখ করেন, পরপর কয়েকটি নির্বাচনে জনগণের প্রকৃত ভোটাধিকার প্রয়োগ সীমিত ছিল, যার ফলে একটি পুরো প্রজন্ম স্বাধীন ও নিশ্চিন্ত ভাবে ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত। একটি অনুকূল, অবাধ ও নিরাপদ নির্বাচনি পরিবেশ সৃষ্টির জন্য নির্বাচন পরিচালনায় জড়িত সকল প্রতিষ্ঠানের আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
তারা আরও বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অপরিহার্য অনুষঙ্গ, যা গণতান্ত্রিক ভিতকে মজবুত করে। স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই গণতান্ত্রিক শাসনের মূল ভিত্তি। নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি ভোটারদের মধ্যে আস্থা বাড়ায় এবং তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে উৎসাহিত করে।

্রিন্ট

আরও সংবদ