খুলনা | রবিবার | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ পৌষ ১৪৩২

দুই মামলায় ১৫০০ টাকা মুচলেকায় জামিন পেলেন আখতার

খবর প্রতিবেদন |
০৩:৩৩ পি.এম | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫


হত্যাচেষ্টা, দাঙ্গা, বেআইনি সমাবেশ ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করে ১৫০০ টাকা মুচলেকায় জামিন পেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ এবং জশিতা ইসলামের আদালত আখতার হোসেনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

আখতার হোসেনের আইনজীবী এডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মুজাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০২১ সালে দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় আখতার হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে একটি মামলায় ৫০০ টাকা এবং অপর মামলায় ১ হাজার টাকা; মোট ১৫০০ টাকা মুচলেকায় তাকে জামিন দেওয়া হয়।

শুনানির আগে আখতার হোসেন বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তার বিরুদ্ধে মোট ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এর মধ্যে চারটিতে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। বাকি দুটি মামলায় আজ আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় আন্দোলনের প্রেক্ষিতে শাহবাগ থানায় আখতার হোসেনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই বছরের ১৩ এপ্রিল পবিত্র রমজান উপলক্ষে অসুস্থ শরীর নিয়েও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দুস্থদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছিলেন। সে সময় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরে শাহবাগ থানার পৃথক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

আখতার হোসেন জানান, মোদি বিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় ২০২১ সালের ১৩ এপ্রিল শহীদ মিনারের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ঘটনায় মোট তিনটি মামলা হয়। এর মধ্যে একটি মামলায় তিনি গত ১১ সেপ্টেম্বর অব্যাহতি পান।

এছাড়া, ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর আবরার ফাহাদের স্মরণসভা উপলক্ষে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়ে আখতার হোসেনসহ ২৪ জন আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

এদিকে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ১৭ জুলাই রাজু ভাস্কর্যের সামনে আবু সাইদের জানাজাকে কেন্দ্র করে আখতার হোসেনকে আটক করা হয়। পরে শাহবাগ থানায় বিস্ফোরক আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মোট ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এর মধ্যে চারটিতে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। বাকি মোদি বিরোধী আন্দোলনের সময়কার দুটি মামলায় আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে তিনি জামিন পেলেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ