জাতীয় ছাত্রশক্তি বাগেরহাট জেলা কমিটির আহ্বায়ক সায়মন শমিত জিয়নকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। জেলার মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের জিয়নের বাড়ির মূল ফটকের সিটকানির সাথে ঝুলিয়ে রাখা একটি চিরকুটে তাকে এই হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) গভীর রাতে জিয়নের বাড়ির গেটে এই চিরকুট রেখে যায় দূর্বৃত্তরা। পরের দিন বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) মোরেলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন ছাত্রনেতা সায়মন জিয়ন। রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে হুমকি দেওয়া চিরকুটটি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

সায়মন শমিত জিয়ন মোরেলগঞ্জ পৌরসভার বারাইখালি ১ ওয়ার্ডের মোঃ রুহুল আমিন ফারুকীর ছেলে। সায়মন শমিত জিয়ন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা ছিলেন।

সায়মন শমিত জিয়ন বলেন, গত ২৩ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১১টা ২৫ মিনিটে প্রতিদিনের মতো বাড়িতে ফেরার সময় তিনি বাড়ির মূল গেটের সিটকানির সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা একটি চিরকুট দেখতে পান। কাগজটি খুলে সেখানে লেখা ছিল “সায়মন জিয়ন। তোর পুরস্কার গুলিতে মৃত্যু। দাফন কাফনের জন্য তৈরি হ। জুলাই চু*দি, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।”

চিরকুটের ভাষা ও হুমকির ধরন দেখে সায়মন শমিত জিয়নের ধারণা, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা জুলাইয়ে রাজপথে ছিলাম, গুলির মুখোমুখি হয়েই স্বৈরাচার পতনের আন্দোলন করেছি। এসব হুমকি-ধমকিতে আমরা ভয় পাই না। মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে আমাদের থামানো যাবে না। দেশের জন্য আমরা যে কাজ করেছি এবং ভবিষ্যতেও যে কাজ করবো, তা অব্যাহত থাকবে। কিছুদিন আগে জুলাই আন্দোলনের সম্মুখসারির যোদ্ধা শরীফ ওসমান হাদী ভাইকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আজ জাতির কাছে একজন শহীদ। তিনি জুলাইকে ধারণ করেই শহীদ হয়েছেন, জুলাইকে বিক্রি করেননি। আমরাও সেই পথেই হাঁটতে চাই।

সায়মন শমিত জিয়ন বলেন, হুমকীর বিষয়টি আমি কিছু মনে না করলেও, পরিবারের সবাই খুবই আতঙ্কে আছে।

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেন, চিরকুটের মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তার  ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং ছাত্রনোর নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।