দেশের বাজারে টানা আট দফা বাড়ানোর পর সোনার দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ২ হাজার ৫০৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ টাকা।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাজুস। মঙ্গলবার ৩০ ডিসেম্বর থেকে নতুন দাম কার্যকর হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম সমন্বয় করা হয়েছে।

নতুন দামে দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ২ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ৬০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৯১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭২৩ টাকা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং বাজুসনির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যোগ করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে ২৮ ডিসেম্বর সোনার দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ লাখ ২৯ হাজার ৪৩১ টাকা, যা ছিল দেশের ইতিহাসে সোনার সর্বোচ্চ দাম। সে সময় ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ১৮ হাজার ৯৯২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ছিল ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩১ টাকা। দামটি কার্যকর হয় ২৯ ডিসেম্বর থেকে।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত মোট ৯২ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪ বার বেড়েছে, আর কমেছে ২৮ বার। ২০২৪ সালে সমন্বয় করা হয়েছিল ৬২ বার; তখন ৩৫ বার দাম বেড়েছিল এবং ২৭ বার কমানো হয়েছিল।

সোনার দাম কমলেও দেশের বাজারে রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ৬৫ টাকায়। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৫ হাজার ৭৭৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৯৫৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ৩ হাজার ৭৩২ টাকা।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৩ বার রুপার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ বার বেড়েছে, আর কমেছে ৩ বার। গত বছর রুপার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ৩ বার।