খুলনা | মঙ্গলবার | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ পৌষ ১৪৩২

ভালুকায় সহকর্মীর গুলিতে প্রাণ গেল আনসার সদস্যের

খবর প্রতিবেদন |
০২:৩২ এ.এম | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫


ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে দায়িত্বরত আনসার সদস্যের গুলিতে সহকর্মী বজেন্দ্র বিশ্বাস (৪০) নামে অপর এক আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর ঘাতক আনসার সদস্য নোমান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার মেহরাবাড়ি এলাকায় অবস্থিত লাবিব গ্রুপের সুলতানা সুয়েটার্স লিমিটেড কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আনসার সদস্য বজেন্দ্র বিশ্বাস সিলেট সদর উপজেলার কাদিরপুর গ্রামের প্রবিত্র বিশ্বাসের ছেলে।

ঘাতক নোমান মিয়া সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর থানার বালুটুরি বাজার এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে। তারা দুজনই সুলতানা সুয়েটার্স লিমিটেড কারখানার নিরাপত্তা শাখায় কর্মরত ছিলেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং লাবিব গ্রুপের দায়িত্বরত আনসার সদস্য এপিসি মো. আজাহার আলী জানান, ঘটনার সময় আনসার সদস্য নোমান মিয়া ও বজেন্দ্র দাস আমার রুমে একসঙ্গে বসে ছিলেন। হঠাৎ বজেন্দ্র দাসের উরুতে বন্দুক (শটগান) ঠেকিয়ে ‘গুলি করে দেই’ বলেই গুলি করে দেয়। এরপর নোমান পালিয়ে যায়। কিন্তু এর আগে আমি তাদের মধ্যে কোনো বাকবিতণ্ডা বা তর্ক-বিতর্ক হতে দেখিনি।

তবে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কারখানাটিতে মোট ২০ জন আনসার সদস্য কর্মরত ছিলেন। ঘটনার সময় আনসার সদস্য নোমান মিয়া ও বজেন্দ্র দাস একসঙ্গে বসে ছিলেন। এ সময় নোমান মিয়ার হাতে থাকা শটগানের ছোড়া গুলিতে বজেন্দ্র দাসের বাম উরুতে গুরুতর জখম হয়। পরে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বজেন্দ্র দাসকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার বিষয়ে জানতে একাধিকবার কল করেও ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

তবে এদিন দিবাগত রাত ১টার দিকে খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নোমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে গভীর তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

্রিন্ট

আরও সংবদ