খুলনা | বুধবার | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ পৌষ ১৪৩২

কেরানীগঞ্জে বিস্ফোরণ : অভিযুক্ত আল আমিন ছিল আওয়ামী লীগের ‘জঙ্গি পুতুল’

খবর প্রতিবেদন |
০১:৫১ এ.এম | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫


কেরানীগঞ্জে মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ ও বিপুল পরিমাণ বোমা  তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত শেখ আল আমিন ছিল আওয়ামী লীগের ‘জঙ্গি পুতুল’। জঙ্গিবাদের নামে উলামায়ে কেরাম ও বিরোধী মত দমন করতে আল আমিনকে ব্যবহার করা হতো। সৃষ্টির নেপথ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস।
আল আমিনের বাড়ি বাগেরহাট জেলায়। সে ও তার পরিবার আওয়ামী লীগ সমর্থক। বোমা বানাতে এক্সপার্ট হওয়ায় তার নাম হয়ে যায় বোমারু আল আমিন। এই নামের কারনে তাকে সিলেক্ট করা হয় জঙ্গি নাটকের প্রধান চরিত্র হিসেবে।
বিগত ফ্যাসিস্ট সময়ে যখন প্রয়োজন পড়ত তখন আল আমিনকে ব্যবহার করা হতো। জঙ্গিবাদের নামে নাটক সাজিয়ে তাকে গ্রেফতার  করা হতো। সঙ্গে মামলায় শত শত উলামায়ে কেরাম ও বিরোধী মতের নাম জড়িয়ে দেয়া হতো। চলত ধরপাকর সহ নানা নির্যাতন। কিছুদিন পর তাপসের কলকাঠিতে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসত আল আমিন। আবার যখন প্রয়োজন পড়ত একই নাটক সাজানো হতো। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ২০১৭ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা হয়। এর মধ্যে চারটি সন্ত্রাস বিরোধী আইনে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আল আমিন চার কক্ষের ওই মাদ্রাসা চালিয়ে যে টাকা পেতেন তা দিয়ে ভাড়াও পরিশোধ করা সম্ভব হতো না। অথচ তিনি সব সময় বিলাসী জীবনযাপন করতেন। প্রাইভেটকারে চলাফেরা করতেন।
গত শুক্রবার সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় উম্মুল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। একতলা একটি ভবনের চারটি কক্ষের মধ্যে দু’টি কক্ষে শিশুদের পড়ানো হতো। বাকি ১টি কক্ষে আল আমিন স্ত্রী ও ৩ সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। অপর কক্ষে সে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম মজুদ করেছিল। সেখান থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আল আমিনকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জনকে আসামি করে মামলা করেছে। ঘটনার পরপরই শেখ আল আমিন পালিয়ে যায়। পরে অভিযান চালিয়ে তার স্ত্রী আছিয়া খাতুন (২৮), আছিয়ার বড় ভাইয়ের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (৩০), শাহিন ওরফে আবু বকর ওরফে মূসা ওরফে ডিবা সুলতান (৩৮) ও তার স্ত্রী আসমানী ওরফে আসমা (৩৪), মোঃ আমিনুর রহমান ওরফে দর্জি আমিন (৫০), মোঃ শাফিয়ার রহমান ফকির (৩৬) ও আহসান উল্লাহ ওরফে আল আমিন নামে ৭ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। ৭ আসামী বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে রয়েছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ