খুলনা | বুধবার | ০৯ জুলাই ২০২৫ | ২৫ আষাঢ় ১৪৩২

২৪ নভেম্বর শুরু, চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত

মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের দিতে হবে বার্ষিক পরীক্ষা

খবর প্রতিবেদন |
০১:০০ এ.এম | ১৪ অক্টোবর ২০২১

করোনার কারনে এক বছর বিরতির পর ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে বার্ষিক পরীক্ষা শুরুর তারিখ জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি। দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা নেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে। এবার সংক্ষিপ্ত পরিসরে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত জানালো শিক্ষা অধিদপ্তর। দেড় বছর পর গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল কলেজ খুলে দেয় সরকার। 
অধিদপ্তরের সার্কুলার অনুযায়ী, পরীক্ষা হবে তিন বিষয়ে। বাংলা, ইংরেজী ও সাধারণ গণিত বিষয়ে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মান হবে ৫০ নম্বরের। প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষার সময় হবে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। তবে তবে পরীক্ষা ছাড়াও এ্যাসাইনমেন্টের ওপর ৪০ এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর ওপর ১০ নম্বর থাকবে।
বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক সৈয়দ মোঃ গোলাম ফারুকের সই করা অফিস আদেশে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে বেশ কিছু শর্তের উলে­খ হয়েছে। তবে দশম শ্রেণিতে নির্বাচনী পরীক্ষার বিষয়ে আলাদা কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি এই আদেশে।
অধিদপ্তরের সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে তিনটি বিষয়ের মধ্যে বাংলা ও সাধারণ গণিতে ৩৫ নম্বর থাকবে লিখিত পরীক্ষায়, ১৫ থাকবে এমসিকিউতে। তবে ইংরেজিতে প্রথম পত্রে ৩০ নম্বর ও দ্বিতীয় পত্রে থাকবে ২০ নম্বর। প্রতিটি পরীক্ষার সময় দেড় ঘণ্টা।
এর সঙ্গে এ্যাসাইনমেন্টে ৪০ ও স্বাস্থ্যবিধিতে থাকবে আরও ১০ নম্বর। আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের পরিচালক (বিদ্যালয়) বেলাল হোসাইন বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমায় বার্ষিক পরীক্ষা নেয়ার তারিখ দেয়া হয়েছে।’
যে সিলেবাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে : যে সকল অধ্যায় থেকে এ্যাসাইনমেন্ট (বাংলা, ইংরেজী ও সাধারণ গণিত বিষয়) দেয়া হয়েছে সে সকল অধ্যায় এবং ১২ জানুয়ারি হতে শ্রেণি কক্ষে যে সকল অধ্যায়ের ওপর পাঠদান করা হয়েছে তা ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সিলেবাস। সে আলোকেই এই পরীক্ষা হবে।
বার্ষিক/নির্বাচনী পরীক্ষার নম্বর বিন্যাস: বাংলা (১ম ও ২য় পত্র) বিষয়ের নম্বর হবে-৫০। এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় ৩৫ ও এমসিকিউতে থাকবে ১৫। ইংরেজী (১ম ও ২য় পত্র) বিষয়ের নম্বর হবে ৫০। এর মধ্যে ১ম পত্রে ৩০ ও ২য় পত্রে ২০ নম্বর থাকবে। সাধারণ গণিত বিষয়ের নম্বর হবে ৫০। এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষা হবে ৩৫ ও এমসিকিউ হবে ১৫ নম্বরের। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বার্ষিক পরীক্ষার নম্বরের সাথে চলমান সকল বিষয়ের এ্যাসাইনমেন্টের ওপর ৪০ নম্বর যোগ করা হবে। এছাড়া বার্ষিক পরীক্ষায় ৭ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর আরও ১০ নম্বর যোগ করা হবে।
তবে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সঙ্গে বৃক্ষরোপণ প্রকল্পে তাদের কর্মতৎপরতা যুক্ত করে এই ১০ নম্বর যোগ করা হবে। মোট ১০০ নম্বরের ওপর প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন পূর্বক বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করে শিক্ষার্থীদের প্রগ্রেসিভ রিপোর্ট প্রদান করা হবে।
২০২১ শিক্ষাবর্ষে এ পরীক্ষা ছাড়া অন্য কোন পরীক্ষা নেয়া যাবে না এবং অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে বলে মাউশি নির্দেশনায় জানিয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারনে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। দেড় বছর পর এ বছরের ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও ধীরে ধীরে খুলে দেয়ার ঘোষণা আসছে।
গত বছর করোনার কারণে স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে সবাইকে ওপরের শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হয়েছে। এবারও প্রাথমিক সমাপনী ও অষ্টম শ্রেণি সমাপনী জেএসসি পরীক্ষা না নিয়ে অটোপাস দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ