খুলনা | রবিবার | ০৬ জুলাই ২০২৫ | ২১ আষাঢ় ১৪৩২

বিয়ের প্রলোভনে সর্বস্ব হারিয়ে প্রতারকের হুমকিতে নিরাপত্তায় ভুগছেন খুবি’র সাবেক শিক্ষার্থী তেরেসা

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:০৩ এ.এম | ২২ নভেম্বর ২০২১


খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন আফসানা ইয়াসমিন তেরেসার দু’চোখের রঙিন স্বপ্ন নিভে গেছে প্রতারকের প্রতারণায়। বিয়ের প্রলোভনে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব এখন। একাধিক মামলা করে পড়েছেন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায়। গতকাল রবিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এসে অশ্র“সিক্ত কণ্ঠে নিজের অসহায়ত্বের কথা প্রকাশ করেন তিনি। তেরেসা নগরীর ১৮/১ মিয়াপাড়া মেইন রোডের মৃত ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে।
নগরীর ১৪ ও ১৫নং পুরাতন হাসপাতাল রোডের মৃত মোঃ হোসেন গাজীর ছেলে মোঃ মারিফুর রহমান (৪০)-এর প্রতারণার শিকার খুবি’র সাবেক এ শিক্ষার্থী। 
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শর্টডির্ভোসের পর ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডে কর্মজীবন শুরু করেন এতিম আফসানা ইয়াসমিন তেরেসা। চাকুরির কিছুদিন পর মতিঝিল শাখার এসএমই ইনচার্জ মোঃ মারিফুর রহমান বাৎসরিক ছুটিতে স্থায়ী বাড়িতে বেড়াতে আসলে খুলনা শাখায় আফসানা ইয়াসমিন তেরেসার সাথে পরিচয় হয়। কর্মক্ষেত্রের নানান কাজের মধ্যে খুলনার মেয়ে হওয়ায় বিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ে উঠে দু’জনের মধ্যে। বাবা, মা নেই এবং স্ত্রী শারীরিক ও মানসিক অসুস্থসহ নানান মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আফসানা ইয়াসমিন তেরেসাকে বিয়ের প্রতিশ্র“তি দিয়ে সুসম্পর্ক করেন। অন্যত্থায় সে আত্মহত্যা করবে-এমন ভাবে তেরেসার সহানুভূতি পায় মারিফুর রহমান। গত বছর তিনি খুলনা শাখার এসএমই ইনচার্জ হয়ে আসেন। এরপর থেকে সখ্যতা আরও ঘনিষ্ঠতায় রূপ নেয়। এর মধ্যে স্ত্রী মুক্তাকে ডিভোর্স দিয়ে তেরেসাকে বিয়ে করার প্রতিশ্র“তি দেন মারিফুর রহমান। গত ২৩ জুন কৌশলে জন্মদিন পালনের নামে চট্টগ্রামে নিয়ে সারপ্রাইজ গিফটের নামে স্ট্যাম্প পেপারে স্বাক্ষর করে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে বলে মারিফুর তেরেসাকে জানায়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এ সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র নোটারী পাবলিক করানোর প্রতিশ্র“তি দেন মারুফুর রহমান। আইডিসিএল’র পলিসি অনুযায়ী সহকর্মীরা একে অপরের সাথে বিয়ে করতে না পারায় প্রতারক মারিফুর রহমানের মিথ্যা প্রলোভনে গত ২৮ জুলাই পদত্যাগ করেন আফসানা ইয়াসমিন তেরেসা। এরপর থেকে শুরু হয় মারিফুর রহমানের নানামুখী প্রতারণা। একপর্যায়ে তেরেসার সাথে সমস্ত সম্পর্ক অস্বীকার করে নানা ভাবে হুমকি দিতে শুরু করেন মারিফুর। এ ঘটনায় ঢাকার ভাটারা থানায় জিডি করেন তেরেসা। গত ১৩ আগস্ট ভাটারা থানায় প্রতারণা, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। গত ২২ আগস্ট খুলনা থানা ও ভাটারা থানা পুলিশ মারিফুরকে গ্রেফতার করে। এরপর থেকে মারিফুর রহমানের ভাই ব্র্যাক ব্যাংক কালিবাড়ী শাখায় কর্মরত মিজানুর রহমান তেরেসাকে নানা ভাবে হুমকি দিতে থাকেন। পরে জামিনে মুক্ত হয়ে মারুফুর একাধিকবার তেরেসাকে হত্যা প্রচেষ্টা চালিয়েছে বলেও আদালতে মামলা করেন ভিকটিম।
এসব বিষয়ে জানতে মোঃ মারিফুর রহমানের ব্যবহৃত ফোনে একাধিকবার কল করলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

্রিন্ট

আরও সংবদ