খুলনা | শনিবার | ১৪ জুন ২০২৫ | ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

অগ্নি ঝরা মার্চ

মাওলা বকস |
০১:৩১ এ.এম | ০৪ মার্চ ২০২২


আজ ৪ মার্চ ১৯৭১ এদিন রেডিও পাকিস্তানের নাম পরিবর্তন করা হয়। ১৯৭১-এর অগ্নিঝরা মার্চের দিন যতই যাচ্ছিল এক দফার দাবি অর্থাৎ স্বাধীনতার আকাক্সক্ষার তীব্রতা ততই বাড়ছিল। দ্রোহ-ক্ষোভে বঞ্চিত শোষিত বাঙালি তখন ক্রমেই ফুঁসে উঠছিল ঔপনিবেশিক পাকিস্তানি শাসক-শোষকদের বিরুদ্ধে। ৪ মার্চ ছিল দেশব্যাপী লাগাতার হরতালের তৃতীয় দিন। গণবিক্ষোভে টালমাটাল ছিল এদিনটি। ফলে ঢাকাসহ সাড়া দেশ অচল হয়ে পড়ে। এদিন সামরিক জান্তার সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে রাজপথে নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ। ‘রেডিও পাকিস্তান, ঢাকা’র নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘ঢাকা বেতারকেন্দ্র’। আর সেই ঘটনা চলমান আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। যা আমাদের মুক্তির পথকে এগিয়ে নেয়। অন্যদিকে ৪ মার্চের এদিনে খুলনায় বাঙালি-অবাঙালিদের মাঝে হয় এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।
একই সঙ্গে ওইদিন পূর্ব পাকিস্তান মহিলা পরিষদের নেত্রী কবি সুফিয়া কামাল ও মালেকা বেগম যৌথ বিবৃতিতে ৬ মার্চ বায়তুল মোকাররম এলাকায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের আহŸান জানান।তবে সেসময় বসে ছিল না পাকিস্তানি বাহিনী। কার্ফু দিয়েও সামরিক জান্তারা সাহসী বীর বাঙালিদের ঘরে আটকে রাখতে পারছিল না। তাই গোপনে আটতে থাকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে বাঙালি নিধনের পরিকল্পনা। এদিকে আন্দোলনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা দফায় দফায় বৈঠকে বসেন ৭ মার্চের জনসভা সফল করার জন্য। তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) চলতে থাকে জনসভার প্রস্তুতি। পাশাপাশি ঢাকাসহ সারাদেশেই গঠন হতে থাকে সংগ্রাম কমিটি। অন্যদিকে আ’লীগের যুব ও ছাত্র নেতারা গোপনে নানা স্থান থেকে অস্ত্র সংগ্রহ অভিযান চালাতে থাকেন বেশ জোরেশোরেই।
একাত্তরের এই দিনে ক্ষুব্ধ বাঙালির মিছিলে মিছিলে ঝাঁঝালো শ্লোগানে উচ্চকিত ছিল সারাদেশ। প্রধান শ্লোগান ছিল-‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’, ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্ম-মেঘনা-যমুনা’, ‘তোমার দেশ আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ