খুলনা | বুধবার | ০৯ জুলাই ২০২৫ | ২৫ আষাঢ় ১৪৩২

মোটরসাইকেল যেন ‘মরণ সাইকেল’ দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতা জরুরি

|
১২:১৩ এ.এম | ১২ মে ২০২২


অসতর্কতার কারণে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ঈদে দুর্ঘটনার সংখ্যা ও প্রাণহানি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ঈদের আগে ও পরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এবারের ঈদে বাসের পরিবর্তে বাইকে চেপে দূরপাল­ার পথ পাড়ি দেন অনেক যাত্রী। ফলে দেখা যাচ্ছে মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার সংখ্যা বেশি।
কয়েক বছর ধরে দেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বাড়ছে। বিশেষ করে ঈদের ছুটিতে দুর্ঘটনা ও মৃত্যু আরও বাড়ে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের বড় একটা অংশই কিশোর ও তরুণ। নিয়ম না মেনে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোয় সড়কে প্রাণ ঝরছে তাদের। যাত্রীকল্যাণ সমিতির হিসাবে, ২০২০ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতদের ৭৯ শতাংশেরই বয়স ছিল ২১ বছরের কম। ২০১৯ সালে সারা দেশে সড়কপথে দুর্ঘটনার ২১ দশমিক ৪ শতাংশে মোটরসাইকেলের সংশ্লিষ্টতা ছিল। গত বছর এ হার বেড়ে হয়েছে ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০১৯ সালে সড়কে মৃত্যুর ২৮ শতাংশ ঘটে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। পরের বছর এ হার বেড়ে হয় ৩১ শতাংশ। কয়েক দিন আগে জানা গেছে- এবার মোট দুর্ঘটনা ও হতাহতের ৪০ শতাংশই মোটরসাইকেলকে ঘিরেই ঘটেছে। যা খুবই দুঃখজনক। সাধারণত মোটরসাইকেল চালান তরুণরা। তাদের বড় অংশই যথাযথ প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষা ছাড়াই লাইসেন্স নিয়ে বা না নিয়ে রাস্তায় নামছেন। তারুণ্যের প্রভাবে অনেকেই বেপরোয়া গতিতে চালানোর ইচ্ছা দমন করতে পারেন না। এছাড়া তাদের বেশিরভাগেরই মহাসড়কে চালানোর অভিজ্ঞতা কম, এর নিয়ম-কানুন সম্পর্কে তারা অসচেতন এবং বড় ও ফাঁকা সড়ক পেলে গতির ঝড় তোলার প্রলোভন সামলাতে পারেন না।
আমরা মনে করি, “তরুণ প্রাণের এমন অপচয় অবশ্যই রোধ করা দরকার। এ ব্যাপারে পরিবারেরও দায় কম নয়। মা-বাবা ও পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠরাই জানেন বাড়ির ছেলের যোগ্যতা-দক্ষতার হাল এবং পরিবারের জন্য এমন একজন তরুণের গুরুত্ব কতখানি। তাই এমন একটি দ্রুতগতির যান তাদের হাতে দেওয়ার আগে এগুলো চালনায় যথেষ্ট দক্ষতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া দরকার”। এছাড়া সরকার, ট্রাফিক বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ দপ্তরের সমন্বিত তদারক বৃদ্ধি করতে এবং আইনকে সক্রিয় করে প্রাণ বাঁচাতে হবে। প্রতিনিয়ত মানুষের এই মৃত্যু, আহত হওয়ার ঘটনার মতো ভয়ানক বাস্তবতা যেভাবে বাংলাদেশে ঘটে চলেছে এ ধারা থেকে বেরিয়ে আসার কোনো বিকল্প থাকতে পারে না। সামগ্রিকভাবে দুর্ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্টরা যুগোপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে দৃঢ় এবং আন্তরিক হবে- এমনটিই প্রত্যাশা।

 

্রিন্ট

আরও সংবদ