খুলনা | বুধবার | ০৯ জুলাই ২০২৫ | ২৫ আষাঢ় ১৪৩২

ত্যাগী ও পরিশ্রমীদের মূল্যায়ন করা হবে : পলাশ

নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে যুবলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী ৩৪৭ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:০৬ এ.এম | ১৫ জুন ২০২২


প্যানা-সাইনে নগর যুবলীগের তৎকালীন শীর্ষ নেতার ছবি না দিয়ে শফিকুর রহমান পলাশের ছবি দেয়ায় বহিষ্কার হয়েছিলেন মোঃ রাজু মোল­া। তবুও থেমে থাকেননি, যুবলীগের কেন্দ্রীয়, স্থানীয় কর্মসূচির পাশাপাশি সামাজিক ও সমাজসেবায় নিরলস কাজ করেছেন তিনি। এলাকায় সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডে বিশেষ ভূমিকা রাখায় ২০১৬ সালে এ কমিটিতে যুক্ত করা হয় রাজু মোল­াকে। তবে কমিটি চলছে সেই ১৯ বছর আগেরটাই। নগরীর ৩০নং ওয়ার্ড যুবলীগের কমিটির নতুন নেতৃত্ব বিকাশে অন্তরায় ছিল এমনি। এমন চিত্র মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডেই কম-বেশি। এবার ঘর গোছাতে কার্যকরী উদ্যোগ নিয়েছে নগর যুবলীগ। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে এ পর্যন্ত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে ৩৪৭ জন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এবার ত্যাগী ও পরিশ্রমীদের সমন্বয়ে সময়োপযোগী কমিটি গঠন করা হবে বলে নিজের প্রতিশ্র“তিবদ্ধের কথা জানালেন নগর যুবলীগের আহবায়ক মোঃ সফিকুর রহমান পলাশ।
নগর যুবলীগের মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক ছাত্রনেতা, সাংবাদিক অভিজিৎ পাল জানিয়েছেন, গত ১৩ জুন পর্যন্ত খুলনা মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী হিসেবে ৩০৭ জন ফরম সংগ্রহ করেছেন। ১৫, ১৬ ও ১৭ জুন বন্ধের পর আগামী ১৮, ১৯ ও ২০ জুন পর্যন্ত ফরম বিতরণ চলবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ওয়ার্ড কমিটির সাংগঠনিক কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার লক্ষে কর্মীসভা ও কমিটি গঠনের লক্ষে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
দলীয় সূত্রমতে, ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মহানগর যুবলীগে মোঃ সফিকুর রহমান পলাশকে আহবায়ক ও শেখ শাহজালাল হোসেন সুজনকে যুগ্ম-আহবায়ক করে ২৩ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। আহবায়ক কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন এসএম হাফিজুর রহমান, রোজী ইসলাম নদী, কামরুল ইসলাম, আবদুল কাদের শেখ, এড. আল-আমিন, আবুল হোসেন, কাজী কামাল হোসেন, নজরুল ইসলাম দুলু, শওকত হোসেন, শেখ মোহাম্মদ আলী, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, কবির পাঠান, তাজুল ইসলাম, মোস্তফা শিকদার, কাজী ইব্রাহিম মার্শাল, জুয়েল হাসান দীপু, সাজ্জাদুর রহমান লিংকন, মহিদুল ইসলাম মিলন, মশিউর রহমান সুমন, মেহেদী মোড়ল, কেএম শাহিন, ইয়াসিন আরাফাত ও রাশেদুল ইসলাম রাশেদ।
নতুন নেতৃত্ব প্রত্যাশী একাধিক নেতা বলেন, দীর্ঘদিন পর নতুন কমিটি পেয়ে উচ্ছ¡াসিত নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণ-চাঞ্চল্যতার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ মহানগর যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০০৩ সালে। সম্মেলনে আনিসুর রহমান পপলু সভাপতি এবং আলী আকবর টিপুকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। সেই কমিটি ভেঙে দিয়ে ২০০৯ সালের ১১ জানুয়ারি আনিসুর রহমান পপলুকে আহŸায়ক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহŸায়ক কমিটি গঠন করা হয়। তাতে আগের কমিটির নেতাদেরই আধিপত্য ছিল। প্রায় ১৭ বছর পর সাবেক ছাত্রনেতাদের সমন্বয়ে নতুন নেতৃত্বে যুবলীগের এই কমিটি গঠন ঘোষণা করে কেন্দ্র। ওয়ার্ড পর্যায়ে অন্তত দুই দশক যুবলীগের নেতৃত্বের বিকাশ হয়নি। এবার ঘর গোছাতে হাত দেয়ায় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ব্যাপক উচ্ছ¡াসিত।
সংগঠনের নগর আহবায়ক শফিকুর রহমান পলাশ সময়ের খবরকে বলেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল, প্রেসিডিয়াম সদস্য আমাদের অভিভাবক শেখ সোহেল এবং বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শে ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠনের মধ্যদিয়ে সংগঠনকে আরও গতিশীল করতে কার্যক্রম শুরু করেছি। ওয়ার্ড কমিটিগুলো দীর্ঘদিনের পুরনো, সেখানে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির মধ্যদিয়ে সংগঠন আরও মজবুত হবে। ওয়ার্ড, থানার কমিটিগুলো সম্মেলনের মধ্যদিয়ে যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করতে চাই। তারপর পর্যায়ক্রমে সম্মেলনের মধ্যদিয়ে মহানগর কমিটি পূর্ণতা পাবে।
তিনি আরও বলেন, এবার ত্যাগী, পরিশ্রমী নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে ওয়ার্ড পর্যায় থেকেই নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করা হবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ