খুলনা | রবিবার | ১১ মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

নেতাকে যেমন দেখেছি

এড. ফরিদ আহমেদ |
০২:০৭ এ.এম | ২৭ জুলাই ২০২২


দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনগণ হারিয়েছে এক শ্রেষ্ঠ সন্তান। গত ২০১৮ সালের ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে তার মৃত্যুর সংবাদে হাজারো নেতা-কর্মী অশ্র“সিক্ত হয়ে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। অমাবশ্যার কালো অন্ধকারের মত শোকের ছায়ায় গ্রাস করে সমগ্র খুলনাকে। এই অঞ্চলের মাটি মানুষের সুখ দুঃখের মাঝে বেড়ে ওঠা তাদের প্রিয় নেতা, প্রিয় সন্তান, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এই অঞ্চলের মানুষের দাবি আদায়ের সংগ্রামের অগ্রনায়ক, ক্রীড়াঙ্গন, সংবাদ পত্র ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রবাদ পুরুষ, রাজপথের সাহসী নেতা এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা এমপি’র মৃত্যু কাঁদিয়েছে খুলনাকে। এই বর্ণাঢ্য রাজনীতিক জীবনে তাঁকে পাড়ি দিতে হয়েছে অনেক সংগ্রামের পথ। 
১৯৬৯ সালে দৈনিক পূর্বাঞ্চল সম্পাদক তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়ন নেতা লিয়াকত আলীর হাত ধরে ছাত্র ইউনিয়নে একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার পক্ষের ছাত্র নেতা হিসেবে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে “খুলনা ক্রেকার্স” নামে একটি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির হাত ধরে সংগঠনটিতে যোগদান এবং বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শের কর্মী হিসেবে নেতৃত্বের সফলতার স্বাক্ষর রাখতে শুরু করেন। এরপর ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর পুত্র শেখ কামাল খুলনা ক্রেকার্স ক্লাবকে বিলুপ্ত করে “খুলনা আবাহনী ক্রীড়াচক্র” প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ইলিয়াস আহম্মেদ চৌধুরীকে সভাপতি ও এস এম মোস্তফা রশিদী সুজাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস চৌধুরীর মৃত্যুর পর থেকে ক্লাবের সভাপতি হিসাবে তিনি আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার পর খুলনা আ’লীগের রাজনীতিতে এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার সাহসী ভূমিকা তাঁকে নেতৃত্বের উঁচু আসনে ধাবিত করে। 
১৯৭৭ সালে আ’লীগের প্রার্থী হিসেবে খুলনা পৌরসভা নির্বাচনে তৎকালীন লিয়াকত নগর ইউনিয়ন থেকে প্রথম কমিশনার নির্বাচিত হয়েছিলেন। একই সময় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকও কমিশনার নির্বাচিত হয়েছিলেন। পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন এড. এনায়েত আলী। কমিশনারের পাশাপাশি এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা লিয়াকত নগর ইউনিয়ন আ’লীগের এবং তালুকদার আব্দুল খালেক মহাসিনাবাদ ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এভাবে তিনি ধাপে ধাপে শহর আ’লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতায় পরিণত হন। 
আ’লীগ নেতাদের মুখে মুখে জানা যায়, জিয়া ও এরশাদের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে টুটপাড়া থেকে সুজা ভাইয়ের নেতৃত্বে সরকার বিরোধী মিছিল বের না হলে খুলনা আ’লীগ কার্যালয় থেকে রাজপথে কোন মিছিল বের হতো না। 
১৯৮৬ সালে খুলনা মহানগর আ’লীগের সহ-সভাপতি থাকা অবস্থায় খুলনা-২ আসন থেকে আ’লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছিলেন। এরশাদ বিরোধী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তৎকালীন খুলনা জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য এড. স ম বাবর আলী দল থেকে বাদ পড়লে জেলা পর্যায়ে নেতৃত্বের শূন্যতা সৃষ্টি হয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও ১৯৯২ সালের সম্মেলনের মাধ্যমে খুলনা জেলা আ’লীগের সভাপতি হিসেবে খুলনা জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এস এম মোস্তফা রশিদী সুজাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই থেকে আমৃত্যু তিনি খুলনা জেলা আ’লীগের রাজনীতিতে তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বের গুণাবলি দ্বারা নিজেকে দলের কান্ডারী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৪ আসনে (রূপসা, তেরখাদা, দিঘলিয়া) আ’লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর মুসলিম লীগ নেতা খান-এ-সবুর-এর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ অঞ্চলে আ’লীগের রাজনীতিকে শক্তিশালী গড়ে তোলেন। এরপর তিনি ১৯৯৩ সালের ১ জানুয়ারিতে দৈনিক পাঠকের কাগজ নামে একটি পত্রিকার প্রকাশ করেন। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী, বাংলাদেশ আ’লীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই পত্রিকাটির উদ্বোধন করেছিলেন। এই পত্রিকায় নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে আমাকে তিনি নিয়োগ দেন। দৈনিক পাঠকের কাগজের সংবাদ কর্মী হিসেবে এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা এমপি’র একান্ত সাহচার্যে যাওয়ার সুযোগ ঘটে আমার। সেই থেকে গত তিন দশকে তাঁর সাথে ঘনিষ্ঠ ভ্রাতৃত্বের সম্পর্কের বন্ধন সৃষ্টি হয়। তাকে খুব কাছে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়। ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় দলীয় প্রার্থী হিসেবে খুলনা-৪ আসন থেকে আ’লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। এই নির্বাচনী প্রচারণার সংবাদ সংগ্রহ ও মিডিয়ার প্রকাশনার দায়িত্বভার বর্তায় আমার উপর। তার পায়ে পা মিলিয়ে রূপসা, তেরখাদা, দিঘলিয়া উপজেলার প্রতিটি গ্রাম জনপদে পদচিহ্ন রেখেছিলাম। কত হাজার স্মৃতি কত ভালো লাগার মুহূর্তগুলো চোখের সামনে জ্বল জ্বল করছে। একদিন নির্বাচন প্রচারকালে এক নেতার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের সময় নিজ প্লেটের বড় কৈ মাছটি আমার প্লেটে তুলে দিয়েছিলেন। আমি অবাক হয়নি তিনি এমনি একজন নেতা যিনি প্রতিটি কর্মীকে খুব সহজে আপন করে নিতে পারতেন। এটা ছিল তার নেতৃত্বের অন্যতম গুণাবলি। তিনি শত শত নেতা-কর্মীর নাম মনে রাখতে পারতেন। ঐ তিন উপজেলাসহ খুলনা জেলার অসংখ্য নেতা-কর্মীর পারিবারিক খোঁজ-খবরও তিনি রাখতেন। যে কারনে তিনি শুধু রাজনৈতিক নেতাই নয় তাদের পারিবারিক অভিভাবক হিসেবেও পরিণত হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে আ’লীগ সরকার গঠন করলে তাকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় সরকার দলীয় হুইপ নিয়োগ করা হয়। রূপসা, তেরখাদা, দিঘলিয়া জনপদের মানুষ স্বপ্নেও ভাবেনি তার বাড়ির পাশের সব পথ পিচ ঢালাই রাস্তায় পরিণত হবে। তিনি হুইপ থাকাকালে অবহেলিত এই অঞ্চলের রাস্তাঘাট ব্রিজ, কালভার্ট, মসজিদ মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজের ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেন। যার ফলে তিনি হয়ে ওঠেন এই অঞ্চলের মানুষের কাছে উন্নয়নের রূপকার হিসেবে। তিনি অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্ব উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেন। এর মধ্যে দিঘলিয়া এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা গার্লস কলেজ, সেনহাটি রাশিদা খানম কবর স্থান, এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা জামে মসজিদ, তেরখাদার চিত্রা মহিলা ডিগ্রি কলেজ, এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা দাখিল মাদ্রাসা এবং রূপসা উপজেলায় রূপসা মহিলা কলেজ অন্যতম। এছাড়া কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। রূপসা এবং দিঘলিয়াকে খুলনা নগরীর সাথে সংযুক্ত করার জন্য নদীর উপর দু’টি ব্রিজ নির্মাণের স্বপ্ন দেখেন এবং জাতীয় সংসদে দাবি তুলে ছিলেন। দিঘলিয়ার ব্রিজ বাস্তবায়নের পথে। দীর্ঘ জলাবদ্ধতায় আক্রান্ত তেরখাদার ভূতিয়ার বিলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে তিনি কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছিলেন। এছাড়া রূপসা ব্রিজ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, আধুনিক রেলস্টেশন, খুলনা বিমান বন্দর, মোংলা বন্দর সচল ইত্যাদিসহ দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের যে কোন উন্নয়নের সাথে তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিজেকে একজন সফল রাজনৈতিক নেতা হিসেবে সম্পৃক্ত রেখেছিলেন। পাশাপাশি তিনি সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেতৃত্ব দিতেন, আমৃত্যু খুলনা নাট্য নিকেতনের সভাপতিও ছিলেন। 
২০০১ সালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে জামায়াত-বিএনপি’র সরকার ক্ষমতায় আসে এবং ২০০২ সালের শেষদিকে অপারেশন কিনহার্ট নামের অভিযানে দুই সহোদরসহ তাঁকে গ্রেফতার করে চালানো হয়েছিল অমানবিক নির্যাতন। হত্যাসহ ডজনখানেক বিভিন্ন মামলায় তাকে পাঠানো হয়েছিল রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে। ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহকর্মী ও তার নিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে রংপুর কারাগারে তাঁর পারিবারকে নিয়ে তাঁর সাথে আমি প্রথম সাক্ষাৎ করেছিলাম। কারা অভ্যন্তরে নির্যাতিত নেতাকে দেখার সেই দৃশ্য ও স্মৃতি কখনো ভোলার নয়। দুইজন কয়েদীর কাঁধে ভর করে তিনি যখন আমাদের সামনে আসলেন মুখে দাঁড়ি, চোখে জল, পায়ের নিচেসহ সারা শরীরের আঘাতের যন্ত্রণায় কাতর ছিলেন। সেই নির্যাতনে যে তার শরীরে রোগে দানা বাঁধল আর সুস্থ হতে পারলেন না। তিনি কয়েক মাস কারাবন্দি থাকার পর সকল মামলা থেকে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে প্রিয় খুলনা নগরীতে পদার্পণ করেন। খুলনার ঐতিহাসিক শহিদ হাদিস পার্কে খুলনাবাসী বিশাল বর্ণাঢ্য নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক স্পিকার বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি এড. আব্দুল হামিদ। 
২০০৭ সালে ১/১১ সরকার মতা গ্রহণের পর জননেতা মোস্তফা রশিদী সুজার পরিবারের পরে পুনরায় নির্যাতনের খড়গ নেমে আসে মিথ্যা ভিত্তিহীন দুর্নীতির মামলার আসামি করা হলে তিনি প্রবাস জীবনে যেতে বাধ্য হয়। ফলে ২০০৮ সালে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেননি। এই নির্বাচনে আ’লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসলে তিনি দেশে ফিলে এসে ঢাকা স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে ঐ দুর্নীতির মামলাকে চ্যালেঞ্জ করেন। ঢাকা আইনজীবীদের সাথে তার ভগ্নিপতি বাগেরহাট সদরের সংসদ সদস্য এড. শওকত আলী বাদশা ও আমি আইনজীবী হিসেবে শুনানীতে অংশ নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে তিনি হাইকোর্টে আপিল করে ঐ মামলা থেকে খালাস হন। ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় খুলনা-৪ আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচন করেন এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি প্রায় অসুস্থ হলে দেশ-বিদেশের চিকিৎসা নিতেন তিনি। ২০১৭ সালে সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ধরা পরে তার দুইটি কিডনী ড্যামেজ হওয়ার পথে। তখন এ নেতার জীবন বাঁচাতে খুলনা জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি ও শ্রীফলতলা ইউপি সদস্য আলম হাওলাদার তার একটি কিডনী দান করেন। ১৩ নভেম্বর সিঙ্গাপুরের ঐ হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপাচার মাধ্যমে কিডনী প্রতি স্থাপন করা হয়। এপ্রিলের ১ম সপ্তাহে তিনি দেশে ফেরেন ৭ এপ্রিল শহিদ হাদিস পার্কে তিনি কিডনীদাতা, বঙ্গবন্ধু ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি ও খুলনাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেদিনের হাদিস পার্ক ও পার্শ্ববর্তী এলাকা জন সমুদ্রে পরিণত হয়েছিল। প্রিয় নেতা লক্ষ মানুষের ভালোবাসার সিক্ত হয়ে তার ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্যে বলেছিলেন “আমার প্রতি আপনাদের এই শ্রদ্ধা ভালোবাসা আমার সারাজীবনের চলার পথের পাথেয় হয়ে থাকবে। আমাকে নিজ গুণে ক্ষমা করবেন, আমি আপনাদের ভাই বন্ধু সুখ, দুঃখের সাথী হয়ে থাকতে চাই। মানুষের কল্যাণ এই অঞ্চলের উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করেছি।”
ক্লিনহার্ট অপারেশন নির্যাতনে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসায় খুলনাবাসী তাকে মৃত্যুঞ্জয়ী নেতা হিসেবে সম্বোধন করেছিলেন। কিন্তু তিনি মৃত্যুকে জয় করতে পারেনি, তিনি জয় করেছেন আমার মত দেশের হাজার, লক্ষ নেতা-কর্মীর হৃদয়। মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কিডনী প্রতিস্থাপনের আগের দিন ১২ নভেম্বর খুলনাবাসীর প্রতি এক খোলা চিঠিতে তিনি যে কথা বলেছিলেন “রূপসা, ভৈরব, আঠারবাকির ঘোলাজল পেরতে পেরতে আমার কথা আপনাদের মনে পড়বে”। সেদিনের খোলা চিঠি পড়ে কত নেতা-কর্মী নিরবে কেঁদেছিল, তা আমার জানা নেই। প্রিয় নেতার চিরবিদায়ের সংবাদে কেঁদে ছিল খুলনা। অনন্তকাল প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আপনার রেখে যাওয়া কৃর্তি দ্বারা আপনাকে স্মরণ করবে। প্রিয় নেতা, প্রিয় ভাইজান ভালো থাকুন পরপারে- আজ শুধু এই কামনা।
লেখক : যুগ্ম-সম্পাদক জেলা আওয়ামী লীগ

্রিন্ট

আরও সংবদ

অন্যান্য

প্রায় ৫ মাস আগে