খুলনা | শনিবার | ১০ জুন ২০২৩ | ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

খুলনায় মুন্না হত্যা : কেটে গেছে প্রায় দেড় মাস, শনাক্ত হয়নি খুনিরা!

সোহাগ দেওয়ান |
১২:৪৪ এ.এম | ১২ অগাস্ট ২০২২


খুলনার খালিশপুর থানাধীন মুজগুন্নী বাসস্ট্যান্ডের মোড়ে প্রকাশ্যে গুলি করে জুলকার নাঈম ওরফে মারজান আহম্মেদ ওরফে মুন্না (৩৮) নামের একজনকে হত্যা করা হয়। নৃশংস এ হত্যাকান্ডের প্রায় দেড় মাস অতিক্রম হতে যাচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত খুনিদের শনাক্ত ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ ও জড়িতদের গ্রেফতার করতে পানেনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা। ইতোমধ্যে থানা পুলিশের কাছ থেকে মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)’র কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত মুন্না দিঘলিয়া উপজেলার সুগন্ধী দেবনগর গ্রামের মৃত সোহরাব মোল­ার ছেলে। সেনহাটি বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
গত ২৯ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি মোটরসাইকেলে আসা দুইজনের মধ্যে পেছনে বসা খুনি বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। মুন্না’র মাথা ঘাড় ভেদ করে কমপক্ষে ৫ রাউন্ড গুলি। মৃত্যু নিশ্চিত করেই খুনিরা ঘটনাস্থল দ্রুত ত্যাগ করে। হত্যাকান্ডটি ফিল্মি কায়দায় ঘটানো হয়েছে বলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত অনেক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন। মামলাটি শুরুতে খালিশপুর থানা পুলিশ তদন্ত করলেও এখন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছেন। 
তবে নিহত জুলকার নাঈম ওরফে মারজান আহম্মেদ ওরফে মুন্না খুলনার দু’টি আলোচিত হত্যা মামলার আসামি ছিল বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো।  
হত্যাকান্ডের পর খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেছিলেন, জুলকার নাঈম ওরফে মুন্না দৌলতপুর থানার ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম ওরফে হুজি শহীদ হত্যা ও খুলনার সেনহাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গাজী আবদুল হালিম হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। ওই দু’টি হত্যা মামলায় তিনি জামিনে ছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন ওসি।
পিবিআই’র পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মান্নান জানান, এখনও পর্যন্ত এ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে প্রক্রিয়া চলছে যে কোন মুহূর্তে খুনিরা শনাক্ত ও গ্রেফতারের আওতায় আসতে পারে। এছাড়া তদন্ত কাজ গুরুত্বের সাথে চলছে বলেও জানান তিনি। 
উলে­খ্য, গত ২৯ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে খুলনার খালিশপুর থানাধীন মুজগুন্নী বাসস্ট্যান্ডের মোড়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন মুন্না। এসময় একটি মোটরসাইকেলে দুইজন সন্ত্রাসী তার কাছে এসে প্রকাশ্যে ফিল্মি কায়দায় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে মুন্নার মাথা ও ঘাড়ে কমপক্ষে ৫টি গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনার সাথে সাথেই পুরো ঘটনাস্থলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ প্রাণভয়ে দিগবিদিক ছুটতে থাকে। মুন্নার মৃত্যু নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এরপর আশপাশের লোকজনের খবরে পুলিশ এসে মুন্নার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন ৩০ জুন নিহত মুন্নার বোন হোমায়রা বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। 

প্রিন্ট

আরও সংবাদ