খুলনা | রবিবার | ০৬ জুলাই ২০২৫ | ২২ আষাঢ় ১৪৩২

অর্ধেকে নেমেছে ডমেস্টিক ফ্লাইটের সংখ্যা

খুলনায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম অধিকাংশ বিমানের টিকিট বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান

সোহাগ দেওয়ান |
০১:০৮ এ.এম | ২৯ অগাস্ট ২০২২


স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই খুলনার অধিকাংশ (এয়ার টিকিট এজেন্সি) উড়োজাহাজের টিকিট বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ধস্ নামতে শুরু করে। চলতি বছরের ২৫ জুন আনুষ্ঠনিক ভাবে সরকার পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করে। ২৬ জুন থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলায় ঢাকা থেকে সরাসরি বাস সার্ভিস চালু হয়। কোম্পানিগুলো এসি, নন এসি, বিসনেস ক্লাস এসি, এসি ডাবল ডেকারসহ দৃষ্টি নন্দন ও আরামদায়ক বাস সার্ভিস ইতোমধ্যে শুরু করেছেন। এতে করে মাত্র সাড়ে ৩ ঘন্টায় খুলনা থেকে ঢাকায় পৌঁছে যাচ্ছেন যাত্রীরা। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দুই মাস যেতে না যেতেই খুলনা-যশোর টু ঢাকার বিমানের যাত্রী নেই বললেই চলে। এজেন্সির অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা শুরু করেছেন। 
খোঁজ খবর নিয়ে দেখা গেছে, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পূর্বে যশোর বিমান বন্দর থেকে প্রতিদিন (ডমেস্টিক) ১৫টি উড়োজাহাজ চলাচল করতো। এর মধ্যে ইউএস বাংলা এয়ার লাইন্স’র ৬টি, নভো এয়ার’র ৬টি এবং বাংলাদেশ বিমানের ৩টি। সেতু উদ্বোধনের পর বর্তমানে ইউএস বাংলা এয়ার লাইন্স’র ৩টি, নভো এয়ার’র ২টি এবং বাংলাদেশ বিমানের ২টি তে নেমে এসেছে। অর্থাৎ অর্ধেকের থেকেও কম উড়োজাহাজ বর্তমানে খুলনা-যশোর টু ঢাকায় চলাচল করছে। ইতোমধ্যে নভো এয়ার যাত্রী পরিবহনের জন্য খুলনা থেকে যশোর বিমান বন্দরের বাস সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছে। 
খুলনার রয়্যাল মোড় এলাকার নাঈম এয়ারের স্বত্তাধিকারী মিঃ নাঈম এ প্রতিবেদককে জানান, আগে প্রতিদিন ৬/৭টি ডমেস্টিক টিকেট বিক্রি হতো। বর্তমানে অনেকদিন ১টি টিকিটও বিক্রি হয়না এমন দিন যাচ্ছে। সপ্তাহে ২/১টি বিক্রি হয়। যাত্রী একেবারে নেই বললেই চলে। কোনভাবে ব্যবসা চলছে  বলেও জানান তিনি। 
খুলনার মর্ডান ফার্নিচার মোড় এলাকার মোল্লা ট্রাভেলস’র স্বত্তাধিকারী মোল­া সিরাজুল ইসলাম নয়ন জানান, পূর্বে ১০/১২টি ডমেস্টিক টিকিট বিক্রি হতো। এখন একেবারে নেই বললেই চলে। ডমেস্টিক টিকিটের উপরেই মূলত আমরা নির্ভরশীল ছিলাম। সামনে এই ব্যবসার কি হবে তা বলা যাচ্ছে না। এক ধরনের হতাশা ও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এই ব্যবসায়ী।
এ বিষয়ে নভো এয়ার’র খুলনার অফিস সূত্র জানায়, পূর্বে ৬টি ফ্লাইট চলাচল করলেও বর্তমানে ২টি রয়েছে। খুলনা-যশোর থেকে ঢাকার যাত্রী নেই বললেই চলে। গত ১৯ আগস্ট থেকে খুলনা টু যশোর বিমান বন্দরে যাত্রী পরিবহনের বাস সার্ভিস বন্ধ করা হয়েছে।   
এ বিষয়ে ইউএস বাংলার স্টেশন ম্যানেজার সাব্বির হোসাইন এই প্রতিবেদককে বলেন, মূলত পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর খুলনা-যশোর থেকে ঢাকার যাত্রী কমেছে। পূর্বের থেকে ফ্লাইট অর্ধেকে নেমেছে। আগে যেখানে ৬টি ফ্লাইট ছিলো, সেখানে এখন ৩টি যাচ্ছে। তবে এই সংকট কেটে ধীরে ধীরে যাত্রী বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। 

্রিন্ট

আরও সংবদ