খুলনা | বুধবার | ২৩ অক্টোবর ২০২৪ | ৭ কার্তিক ১৪৩১

স্তন ক্যান্সারে দেশে বছরে ৬৭৮৩ মৃত্যু আক্রান্ত ১৩ হাজারের বেশি : আইএআরসি

খবর প্রতিবেদন |
০১:১৩ এ.এম | ২১ অক্টোবর ২০২২


বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৩ হাজারেরও বেশি নারী নতুন করে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। মারা যান ৬ হাজার ৭৮৩ জন। নারী ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে ১৯ শতাংশ ভোগেন স্তন ক্যান্সারে। ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সারের (আইএআরসি) এক হিসাবে এসব তথ্য উঠে এসেছে। 
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) রেডিওলজি এ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের শ্রেণিকক্ষে স্তন ক্যান্সার বিষয়ক সেমিনার ‘সিএমই অন ব্রেস্ট ইমেজিং এ্যান্ড ইন্টারভেনশন’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। 
সেমিনারে বলা হয়, সচেতন হলে স্তন ক্যান্সার নিরাময় করা সম্ভব। ঝুঁকিতে থাকা নারীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, ২০ বছর বয়স থেকেই নিজে নিজে স্তন পরীক্ষা করা এবং ৩৫ বছররের ওপরের নারীরা ম্যামোগ্রাফিক স্ক্রিনিং করলে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে স্তন ক্যান্সার নিয়ে আমরা বেশ উদ্বিগ্ন। এটি সম্ভবত খাদ্যাভ্যাস, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবেশগত পরিবর্তনের প্রভাবও হতে পারে। এছাড়া বর্তমানে সচেতনা ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং বাড়ার কারণে এ সমস্যা সবার সামনে আসছে। এ ক্ষেত্রে রেডিওলজি বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিংয়ের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মিজানুর রহমান, এসএইচআইবিপিএস’র রেডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ খলিলুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ সাঈদা শওকত, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ ফাতেমা দোজা, এসএইচআইবিপিএস সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ বিদুরা তানিম, বারডেমের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ ফাহমিদা ইয়াসমিন, বিএসএমএমইউর রেডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ ফারজানা আলম, ভারতের কোভাই মেডিকেল সেন্টার অ্যান্ড হসপিটালের (কেএমসিএইচ) রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের কনসাল্ট্যাসন্ট ডাঃ রুপা রাঙ্গানাথ।
একই সঙ্গে সাইকোলজিক্যাল প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ ফাতিমা জোহরা।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ