খুলনা | সোমবার | ১২ মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

দেশের ২৫ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩৪ এ.এম | ০৯ জানুয়ারী ২০২৩


দেশের মোট জনগোষ্ঠীর অন্তত ২৫ শতাংশ মানুষ হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন। এর কারণে স্ট্রোকসহ নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। এই অবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ সঠিক পদ্ধতিতে নির্ণয় জরুরি বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
রবিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এ ব্লক মিলনায়তনে সেন্ট্রাল সাব কমিটির উদ্যোগে ‘ইপারটেনশন সংক্রান্ত মাসিক সেন্ট্রাল’ সেমিনারে আলোচকরা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে জানানো হয়, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ একটি বড় বোঝা। হাইপারটেনশনসহ সব রোগের চিকিৎসা শুরু হয় রোগ নির্ণয়ের প্যারাম্যাটার বা পরিমাপ দিয়ে। এজন্য পরিমাপটা যথাযথ হতে হয়। রক্তচাপ মাপার পূর্ব শর্ত হলো, সঠিক মাপের কাপ ব্যবহার করা। এক্ষেত্রে বয়সভিত্তিক কাপ ফলো করা উচিত।
রক্তচাপ মাপার পদ্ধতির বিষয়ে আলোচকরা বলেন, রক্তচাপ অবশ্যই দুই হাতের বাহুতে মাপতে হবে। যদি দু’টি হাতের প্রেসারের তারতম্য থাকে তবে অবশ্যই যেটির প্রেসার বেশি সেটি সঠিক পরিমাপ হিসেবে নিতে হবে। যখন রোগীর প্রেসার মাপা হয় তখন রোগীকে অবশ্যই তার পেছনে ভরের সাপোর্ট নিয়ে বসতে হবে, পা আড়াআড়ি করে বসা যাবে না। ব্লাড প্রেসার মাপার আগে অবশ্য পাঁচ মিনিট আরামে চুপচাপ বসে থাকতে হবে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নানা পরামর্শ দিয়ে সেমিনারে বলা হয়, রোগীর জন্য নির্ধারিত প্রেসক্রাইভড ওষুধ খেতে হবে। এজন্য সকল জায়গায় সরকারি ওষুধ সরবরাহ বাধ্যতামূলক করতে হবে। হাইপারটেনশন প্রতিরোধের জন্য ধূমপান গ্রহণ বন্ধ করা, এ্যালকোহল খাওয়া বন্ধ করা এবং নিয়মিত শরীর চর্চা করা উচিত। এছাড়া ওজন কমানো, হৃদরোগ প্রতিরোধে খাবার লবণ কম খাওয়া, প্রতিদিন সবজি বা ফল খেতে হবে। খাদ্যে স্বাস্থ্যসম্মত তেল ব্যবহার, লাল মাংস কম খাওয়া, সুগার কম খাওয়া, মাছ খাওয়া এবং ওমেগা ও ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার সপ্তাহে অন্তত দুইবার খেতে হবে।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ