খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৯ মে ২০২৫ | ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ওমরাহ বিমার খরচ ৬৩ শতাংশ কমালো সৌদি সরকার

পবিত্র হজের খরচ কমলো ৩০ শতাংশ

খবর প্রতিবেদন |
০১:২২ এ.এম | ১৮ জানুয়ারী ২০২৩


করোনা ভাইরাসের বিধিনিষেধের কারণে গত তিন বছর নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষ পবিত্র হজ পালনের সুযোগ  পেয়েছিলেন। এবার আর থাকছে না কোনো বাধা ও নিয়ম-কানুন। গত সপ্তাহে সৌদি আরবের হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছিল।
এবার জানা গেল, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে কমানো হয়েছে হজ প্যাকেজের মূল্যও। গত বছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ কম খরচে এবার হজ পালনের সুযোগ পাবেন মুসলি­রা।
হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব ডক্টর আমর বিন রেদা আল মাদ্দাহ গত ১৫ জানুয়ারি এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘ইকোনোমিক হজ প্যাকেজের’ প্রায় ৯০ ভাগ ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে।
সহকারী সচিব আল মাদ্দাহ আরও জানিয়েছেন, সৌদির অভ্যন্তরীণ যে হজ প্যাকেজগুলো রয়েছে সেগুলো কোম্পানির সেবার মানের ওপর ভিত্তি করে কয়েকটি ক্যাটগরিতে ভাগ করা হয়েছে। হজ ক্যাম্পে সেবার মান দেখে এটি নির্ধারণ করা হবে।
এদিকে গত সপ্তাহে হজ মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, সৌদি আরবের স্থানীয় মুসলি­রা চাইলে তিন ভাগে হজ প্যাকেজের অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন। আগে একসঙ্গে পুরো অর্থ পরিশোধের নিয়ম ছিল।
হজ পালনে আগ্রহীদের আগে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্যাকেজের ২০ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করে নিজের জায়গা নিশ্চিত করতে হবে। এরপরের ৪০ শতাংশ অর্থ ২৯ জানুয়ারির (৭ রজব) মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। আর শেষ ৪০ শতাংশ অর্থ দেওয়া যাবে এপ্রিলের ২৩ (৩ শাওয়াল) তারিখের মধ্যে।
প্রত্যেক কিস্তির অর্থ পাওয়ার পর একটি করে রসিদ দেওয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধের পর হজ প্যাকেজটি ‘নিশ্চিতকরণ’ করা হবে। না হলে এটি বাতিল করা হবে।
প্রতি বছর সৌদি আরবের পবিত্র মক্কায় ২৫ লাখ মানুষ হজ পালন করেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের বিধিনিষেধের কারণে এ সংখ্যা ২০২০ সালে কয়েক হাজারে নামিয়ে নিয়ে আসা হয়। ২০২১ সালে সৌদির ভেতর অবস্থানরত ৬০ হাজার মুসলি­ হজ পালনের সুযোগ পান। আর গত বছর বিদেশিসহ ১০ লাখ মানুষ হজ পালন করেছিলেন।
অন্যদিকে বিদেশি হজযাত্রীদের জন্য সামগ্রিক ওমরাহ বিমার খরচ ৬৩ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব সরকার। এ বিষয়ে সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় গত ১০ জানুুয়ারি থেকে খরচ কমিয়ে ২৩৫ থেকে ৮৭ সৌদি রিয়াল করেছে।
ওমরাহ’র জন্য বিমা হলো বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর হজ যাত্রীদের জন্য একটি সমন্বিত নীতি। এই ভিসা পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত রয়েছে চিকিৎসা, হাসপাতালে ভর্তি, গর্ভাবস্থা, জরুরি প্রসব, জরুরি ডেন্টাল কেস, ট্রাফিক দুর্ঘটনায় আঘাত, ডাুয়ালাইসিস এবং অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক চিকিৎসা।
দুর্ঘটনার কারণে স্থায়ী অক্ষমতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মৃত্যু ও মৃত্যুর ঘটনা, মরদেহ দেশে ফেরত দেওয়া এবং আদালতের রায়ে জারি করা ব্লাড মানি’র মতো সাধারণ বিষয়গুলো এর অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া এতে ফ্লাইট বিলম্বের ক্ষতিপূরণ এবং ফ্লাইট বাতিলের ক্ষতিপূরণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সৌদি আরবে প্রবেশের দিন থেকে শুরু করে ৯০ দিন পর্যন্ত এ বিমা কাজ করবে এবং তা শুধু সৌদি আরবেই কার্যকর হবে।
ওমরাহ পালনকারীরা ওমরাহ বিমা পলিসি দেখতে, এর  বৈধতা যাচাই করতে এবং পরিষেবা প্রদানকারীদের সম্পর্কে জানতে সামগ্রিক বিমা প্রোগ্রামের ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে আসতে পারবেন। সূত্র: গালফ নিউজ

্রিন্ট

আরও সংবদ