খুলনা | শনিবার | ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩০

স্বজনদের পিটিয়েছে এ্যাম্বুলেন্স চালকরা

খুমেক হাসপাতালের ফটক থেকে নবজাতক চুরি : আটক ২

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:১৫ এ.এম | ২৫ জানুয়ারী ২০২৩


খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফটক থেকে একদিন বয়সের নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অভ্যন্তরের জরুরি বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ্যাম্বুলেন্স চালকদের সাথে প্রসুতির স্বজনদের বাক-বিতন্ডার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে বলে সূত্রে জানা গেছে। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চুরি হওয়া ওই নবজাতকের সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় খুলনা মেডিকেল কলেজ এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে।
তবে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে র‌্যাব-৬। নবজাতক চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মোঃ রবিউল হাসান।
সকাল সাড়ে দশটার দিকে ফকিরহাট উপজেলার পিলজং এলাকা থেকে দিনমজুর তোরাব আলী তার অন্তঃসত্ত¡া স্ত্রী রানী বেগমকে (৩৫) নিয়ে খুমেক হাসপাতালে আসেন। তাকে হাসপাতালে লেবার ওয়ার্ডে ভর্তির পর দুপুর পৌনে ১টার দিকে বাচ্চা প্রসব করেন। সন্ধ্যায় বাচ্চা নিয়ে বাড়ি যাবার জন্য এ্যাম্বুলেন্স ঠিক করার সময় তোরাব আলীর সাথে বাক-বিতন্ডা শুরু করে এ্যাম্বুলেন্সের দু’গ্র“প। একপর্যায়ে বাচ্চার স্বজনদের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় বাচ্চাটি তার খালা সোনিয়ার কোলে ছিল। গোলমালের মধ্যে অজ্ঞাতনামা এক মহিলা কোল থেকে জোর করে বাচ্চাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে র‌্যাব খবর পেয়ে হাসপাতালের বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আবীদ মেডিকেল হলের প্রবীর এবং গাজীরহাট ফার্মেসীর ইমন নামে দু’জন ওষুধ ব্যবসায়ীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
‘হাসপাতালের গেট থেকে নবজাতক চুরি বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ রবিউল হাসান বলেন, হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর স্বজনেরা বাড়ি ফেরার জন্য এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করছিলেন। তখন বাড়তি ভাড়া চাওয়াকে কেন্দ্র করে চালকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ সময় নবজাতক তার খালার কোলে ছিল। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা মাস্ক পরা এক নারীর কাছে নবজাতক রেখে তার খালা হাতাহাতি ঠেকাতে যায়। হুড়োহুড়ির মধ্যে ওই নারী নবজাতককে নিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছিল। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নবজাতকের মামা মোস্তফা হোসেন জানান, এ্যাম্বুলেন্স চালকের সাথে তার কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ওই চালক গাড়ির চাবি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। এর মধ্যে আরও কয়েকজন চালক তার ওপর তার ওপর মারমুখী আচরণ শুরু করে। তাদের সাথে একজন নারীও ছিল। চালকদের হাত থেকে ভাইকে রক্ষা করতে বোন রানী বেগম এগিয়ে আসেন। এ সময় এক নারী নবজাতকটিকে তার খালা সোনিয়া বেগমের কাছ থেকে নিয়ে ভীড়ের মধ্যে হারিয়ে যায়। এর জন্যে সম্পূর্ণ দায়ী খুমেক হাসপাতালের সামনের অব্যবস্থাপনা ও বেপরোয়া এ্যাম্বুলেন্স চালকরাই।
মোস্তাক আরো  বলেন, ঘটনার পর থেকে হাসপাতাল এলাকায় বাচ্চাটিকে খোঁজ নিয়েও সন্ধান পাইনি। নবজাতকের বাবার নাম তোরাব আলী। তিনি ফকিরহাটের বাসিন্দা।

প্রিন্ট

আরও সংবাদ